রিপন রানা বরিশাল:
প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নদ-নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই সময় উপকূলীয় এলাকার নদ-নদী সাগরে কোন ধরনের জাল ফেলা যাবে না। এই ২২দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ, বাজারজাত ও পরিবহন আইনত দন্ডনীয়।
সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সারা দেশের নদ-নদীতে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন।
এরই ধারাবাহিকতা অংশ হিসেবে সোমবার (১০ অক্টোবর) সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.জলিল এর নেতৃত্বে সকাল ৭টা থেকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীসহ বেশ কয়েকটি নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ-সময় সদর নৌ থানার অভিযানে এক লাখ মিটার কারেন্ট জাল, পাঁচ কেজি ইলিশ মাছ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুই শিশুকে আটক হয়।
সোমবার (১০ অক্টোবর) অপ্রাপ্ত বয়স্কো দুই শিশুকে জেলা প্রশাসক এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুচলেকা রেখে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.জলিল,জানান গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) থেকে মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযানে ৩ দিনে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়ে ধ্বংস করা হয়েছে, যার বাজারজাত মূল্য ২১ কোটি ৯১ লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা ও ৫৩ কেজি ইলিশ মাছ বিভিন্ন মাদ্রাসার এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমে বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও দুইটি নৌকা সহ পাঁচ জন জেলে আটক করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন,অভিযানে সদর নৌ পুলিশের কঠোর নজর দারি থাকবে।ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে নৌ পুলিশ দুই ভাগে অভিযান পরিচালনা করছে। নদীতে মাছ শিকার কিংবা নদীতে প্রবেশেকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। উক্ত অভিযানে আটককৃত কারেন্ট জাল পুড়ে ধ্বংস ও ইলিশ মাছ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জিব সন্নামত ও নৌ-বন্দর থানার ওসি আ.জলিল সহ অন্যান্যরা।তথ্য সূত্রে নিশ্চিত করেন সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জলিল।