নিজস্ব প্রতিবেদক::বরিশাল ///বরিশাল নগরীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চম্পা রানী শীলের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করা হয়।সেই মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি হয়ে দীর্ঘদিন বরগুনা জেলায় পালিয়ে থাকেন।
অবশেষে পালিয়ে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পায়নি চম্পা রানী শীল। বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ ও বরগুনা জেলা পুলিশের সহযোগীতায় পৃথক অভিযানে অর্থ লোভী, ব্ল্যাকমেইলিং করে বিবাহ করা চম্পা রানী শীলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত (১৫মে) ২০২২ সালে বরিশাল যুগ্ম দায়রা জজ প্রথম আদালতে চম্পা রানী শীলের বিরুদ্ধে প্রতারণার বিষয় উল্লেখ করে ১২ লক্ষ টাকার চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন আমিনুল ইসলাম। উক্ত মামলায় চম্পা রানী শীলের এক বছর সাজা হয়েছে। কিন্তু সে পালিয়ে থাকায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি হয়।
আমিনুল ইসলাম জানান,কোতয়ালী থানা পুলিশের সহযোগীতায় বরগুনা পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড চম্পা রানী’র ভাড়াটিয়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি হলেন, নগরীর শীতলাখোলা এলাকার সেলুন ব্যবসায়ী,,,,,,,সাবেক স্ত্রী চম্পা রানী শীল।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে গত(২০ফেব্রুয়ারি) হেলাল উদ্দিন ফারুক বরগুনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাজায় চাম্পা রানী শীল একজন প্রতারক বিভিন্ন পুরুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে ব্ল্যাকমেইলিং করে বিবাহ ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন ফারুক বলেন ২০২১ সালে চাম্পা রানী শীলের সাথে পরিচয়ের পরে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। একটা পর্যায়ে তার সমস্যার কথা বলে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা ধার নেয়। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে তাদের সাথে প্রায় মনমালিন্য হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে চম্পা রানী বরগুনা বাসায় ডেকে নিয়ে আমাকে শারীরিক ভাবে লোকজন দিয়ে টর্চার করে, আমার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে ১০ লক্ষ টাকা কাবিনে চম্পা রানী শীলের সাথে বিবাহ পরিয়ে দেয়। আমি টাকাও পেলাম না উল্টো বিবাহ পরিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
আবির নামে এক যুবক বাদী হয়ে বরিশাল যুগ্ম দায়রা জজ প্রথম আদালতে চম্পা রানী শীলের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার চেক ডিজঅনার মামলা করেন। মামলা নাং ১১৮০/২০২২। উক্ত মামলায় চম্পা রানীর পাঁচ মাস সাজা হয়েছে।
নগরীর হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা রাকিব হাওলাদার ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ফেরত না পাওয়ায় বরিশাল যুগ্ম দায়রা জজ প্রথম আদালতে চম্পা রানীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করেন। মামলা নাং ২০১৭/২০২৩।
ভুক্তভোগী পাওনা টাকা ফেরত না পেয়ে চাম্পা রানী শীলের বিরুদ্ধে বরিশাল যুগ্ম দায়রা জজ প্রথম আদালতে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার চেক ডিজঅনার মামলা করেন। মামলা নাং ১১৯৩/২০২২। উক্ত মামলায় চম্পা রানী শীলের ৩ মাসের সাজা হয়েছে।
পপুলার মাল্টিপারপাস সভাপতি ফরিদ উদ্দিন জানান চাম্পা রানী শীলের বিরুদ্ধে পিরোজপুর ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ১ লক্ষ টাকার ঋণ খেলাপির মামলা চলমান রয়েছে। শক্তি এনজিও থেকে ঋণ খেলাপির অভিযোগ রয়েছে।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ আরিচুর হক বলেন চম্পা রানী শীল নামের এক আসামীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিলো।সেই ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি চম্পা রানী শীলকে বরগুনা থেকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।