Tuesday , 11 October 2022 | [bangla_date]
  1. Development By Sahon Srabon
  2. অন্যান্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. চাকরির খবর
  6. জাতীয়
  7. তথ্য ও প্রযুক্তি
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. শোকাহত
  11. সারাদেশ

ভোলায় আধুনিক যন্ত্রের আবির্ভাবে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁক

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কালের বিবর্তন আর আধুনিক প্রযুক্তির ফলে ভোলায় হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি শিল্প। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া এখন দেশের প্রতিটা অঞ্চলে। বদলে যেতে বসেছে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান। মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করতে তৈরি করা হয়েছে নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি, ব্যবহার হচ্ছে নানা রকম প্রযুক্তি।
ধান ভানি রে, ঢেঁকিতে পার দিয়া।/ ঢেঁকি নাচে আমি নাচি, হেলিয়া দুলিয়া।/ ধান ভানি রে।’ গ্রামবাংলার তরুণী-নববধূ, কৃষাণীদের কণ্ঠে এ রকম গান এখন আর শোনা যায় না। বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র আবিষ্কারের সাথে সাথে সেসব পুরোনো ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। কালের বিবর্তনে ঢেঁকি এখন শুধু ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করে। দিন দিন ঢেঁকি শিল্প বিলুপ্ত হলেও একে সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেই।
প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে এক সময়ের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি শিল্প। পাল্টে যেতে বসেছে গ্রামের চিত্র।
জেলার বিভিন্ন গ্রামে এখন আর ঢেঁকিতে ধান ভাঙার দৃশ্য চোখে পড়ে না, তেমনি শোনা যায় না ঢেঁকির ধুপধাপ শব্দ। শহরে তো বটেই আজকাল অনেক গ্রামের ছেলে মেয়েরাও ঢেঁকি শব্দটির সঙ্গে পরিচিত হলেও বাস্তবে দেখেনি।
আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি এখন আর চোখে পড়ে না। ঢেঁকিই ছিল এক সময়ের গ্রামীণ জনপদে চাল, চালের গুঁড়া ও আটা তৈরির একমাত্র মাধ্যম। বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র আবিষ্কারের ফলে ঢেঁকি এখন শুধু ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করে। দিন দিন ঢেঁকি শিল্প বিলুপ্ত হলেও একে সংরক্ষণের আর কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে। এখন ঢেঁকির আর দেখাই মেলে না।
আধুনিক যুগে সেই ঢেঁকির জায়গা দখল করে নিয়ে বিদ্যুৎচালিত মেশিন, যার মাধ্যমে মানুষ এখন অতি সহজেই অল্প সময়ে ধান থেকে চাল পাচ্ছে। গ্রামে গ্রামে বসছে চাল তৈরির কল। হাতের কাছে বিভিন্ন যন্ত্র আর প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায় ঢেঁকির মতো ঐতিহ্যবাহী অনেক কিছুই এখন হারিয়ে যাচ্ছে।
ভোলা সদর পূর্ব ইলিশার স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, আগে প্রায় সবার বাড়িতে ঢেঁকি ছিল। সেই ঢেঁকিছাঁটা চাল ও চালের পিঠার গন্ধ এখন আর নেই। পিঠার স্বাদ ও গন্ধ এখনো মনে পড়ে। আধুনিক প্রযুক্তির ফলে গ্রামবাংলায় ঢেঁকির ব্যবহার কমে গেছে।
ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের গুলুনুর বেগন বলেন, আগে আমরা ঢেঁকি দিয়ে বিভিন্ন খাদ্যদ্রবাদী মাড়াই করেছি। আগে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ঢেঁকিতে চালের আটা তৈরি করতে আসত। কিন্তু এখন আর তেমন কেউ আসে না। এখন সবাই মেশিনে চাল মাড়াই করে।
বর্তমানে বৈদ্যুতিক বা আধুনিক যন্ত্রপাতির ছোঁয়াতে তা বিলুপ্তির পথে। ঢেঁকির মতো অনেক বাঙালি ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবার উচিত এ ঐতিহ্যকে সংরক্ষণনকরা। ঢেঁকি আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য। তাই এ শিল্প রক্ষা এবং সংরক্ষণের জন্য সবার সহযোগিতা ও গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে আগামী প্রজন্ম যাতে বাংলার এসব সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেদের মেলবন্ধন স্থাপন করতে পারে, সেজন্য সরকারি বা বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

আগুনে পুড়িয়ে সাবেক স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

বরিশাল নগরীতে সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাপের উপদ্রব বেড়েছে

ধর্ষণ মামলায় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ গ্রেপ্তার।

দশমিনা চরবোরহানে ভোটারদের বাড়ি ঘরে গভীর রাতে হামলার অভিযোগ, নেই কোন প্রতিকার !

বরিশাল সদর নৌ পুলিশের অভিযানে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ

ভোলায় জলোচ্ছ্বাস থেকে মহিষকে সুরক্ষা দিলো আধুনিক কিল্লা

রুপাতলী শ্রমিক ইউনিয়নের দুই কমিটি বাতিল, সাবেক কমিটিকে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে

ভোলায় ইলিশ শিকারের দায়ে ৪৭ জেলের জেল-জরিমানা

10 সেপ্টেম্বর: ইতিহাসের এই দিনে

বরিশালে ভেজাল ব্যবসা করায় দোকানিকে কান ধরে উটবস ।