নিজস্ব প্রতিবেদক <<>> বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থীত বি আই ডব্লিউ টিএ লঞ্চঘাট। নৌ থানার সামনে ভি আই পি পার্কিংয়ের স্থানে বসে প্রতিদিন ছোটো খাটো গাঁজা ইয়াবা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ক্রয় ও বিক্রয়ের নির্ভর স্থান হিসাবে বেঁচে নিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
আর নিরভ ভুমিকায় পুলিশ প্রশাসন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ৮থেকে ১২ বছর বয়সী কিশোর কিশোরী ছেলে ও মেয়েরা প্রকাশ্যে গাঁজা ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রয় করেন। এসময় উপস্থিত সংবাদকর্মীদের দেখে পালিয়ে যায় পথশিশু কিশোর-কিশোরীরা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রসুল পুর এলাকার বাসিন্দা মালেকা বেগম এর মেয়ে যুথি ও তার স্বামী মুন্না’র নেতৃত্বে পথ শিশু ছেলে ও মেয়েদের দিয়ে ,দিচ্ছে গাঁজা ইয়াবা সাপ্লাইসহ পথচারীদের কাছে বিক্রি করানো হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য, জানাযায় লঞ্চঘাট এলাকায় নৌ থানার সামনে গাড়ী পার্কিংয়ের স্থানে বসে জুথী ও মুন্না দম্পতি দীর্ঘ দিন ধরে পথ শিশু রাব্বি, নয়ন, রিদয় ওরফে মোটা রিদয় সৌরভ তবলাসহ কয়েকজন পথশিশুদের দিয়ে প্রতিনিয়ত গাঁজা ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছে।
ইয়ামিন(তবলা) জানায় রসুলপুরের যুথি তাকে গাঁজা বিক্রি করতে দেয়। প্রতি পুরিয়া গাঁজা বিক্রি করে সে ১০ টাকা করে পায়। ইয়ামিন গাজা ও ইয়াবা সহ এর আগেও ৪ বার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। ইয়ামিন যশোর কিশোর অপরাধ সংশোধনী কেন্দ্রে আটক ছিল। সম্প্রতি ইয়ামিন জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার পূর্বের মত গাজার ব্যাবসা শুরু করে।
এছাড়াও এই দাম্পতি’র বিরুদ্ধে কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এঘটনায় জুথী ও মুন্না দম্পতির বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একাধিক মামলার আছে।
অভিযুক্তরা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানা ও কাউনিয়া থানাসহ অনন্য থানায় ১৪/১৫ টা মামলা আছে, এখন যদি এই মাদকের ব্যবসা ছেড়ে দেই তাহলে আমরা কিভাবে মামলা চালাবো। খাদিজা আক্তার (জুথি) ৯ নং ওয়ার্ড রসুলপুর এলাকার হাররুনের মেয়ে ও স্বামী মুন্না ফরাজী ১০ নং ওয়ার্ড ভাটারখাল ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন বস্তির এলাকার মনির ফরাজী (বাবুর্চি) এর ছেলে।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাসনাত জামান বলেন, লঞ্চঘাট এলাকায় যেসব ছেলে মেয়েরা গাঁজা বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়,কিন্তু জেল হাজত থেকে বের হয়ে আবার এসব ব্যবসার সাথে জরিয়ে পরে।