Saturday , 30 July 2022 | [bangla_date]
  1. Development By Sahon Srabon
  2. অন্যান্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. চাকরির খবর
  6. জাতীয়
  7. তথ্য ও প্রযুক্তি
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. শোকাহত
  11. সারাদেশ

পীরগঞ্জ গোরস্থান থেকে ১৯ কঙ্কাল চুরি

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পৌরশহরের পীরডাঙ্গী গোরস্থান থেকে ১৯টি লাশের কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে এ ঘটনাটি ঘটে।

গোরস্থানে মাটি দিতে আসা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি আমার নানি শ্বাশুড়ির দাফন সম্পন্ন করার জন্য গোরস্থানে আসি। মাটি দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম একসাথে অনেকগুলো কাপড়-চোপড় পরে আছে। আমি একটু ভয় পেয়েছিলাম। পরে কয়েকজনকে ডাকলাম তারা আসলেন।

আমরা সবাই মিলে কাছাকাছি গিয়ে দেখলাম সেখানে তোয়ালা, টাউজারসহ কাপড়-চোপড় পরে আছে। আর কবরগুলোর বেড়াগুলো ভাঙা আছে। পরে আরও লোকজন সমবেত হলো, গিয়ে দেখলাম ১৯টি কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়ে গেছে৷

কবরস্থানে আসা প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা কবরের ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন তাদের এগুলো কাপড়-চোপড়। তারা হয়তো এগুলো পরিবর্তন করে এখান থেকে চলে গেছেন৷ আর প্রায় ১৯ -২০ টি কবরের বেড়াগুলো ভাঙা। আর ভিতরে লাশের কোনো কঙ্কাল নেই। সেগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। এ নিয়ে আমরা অনেক আতঙ্কে আছি।

এ বিষয়ে পীরগন্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি গোরস্থানে অবস্থান করছি।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর, পুলিশ কর্মকর্তা হারুন প্রত্যাহার

বাকেরগঞ্জ অসহায় পরিবারের জমির মসজিদ ভেঙে বাড়ী নির্মাণের ও থানায় অভিযোগ।

বিরামপুরে নারীর লাশ উদ্ধার

বরিশালে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ

বরিশাল চরকাউয়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাজু গাঁজা সহ আটক।

ঝিনাইদহে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে ৯ জনের যাবজ্জীবন

আমরা সবার খাদ্য, টিকা, ওষুধসহ সবকিছু দিয়ে যেতে পারছি।

ঝিনাইদহে ৩’শ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ

প্রতিষ্ঠার নব্বই বছর পরে মুক্তিযোদ্ধার নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরন

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামে ধরলা নদীর ভাঙন।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বন্যা-পরবর্তী ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে কয়েকটি গ্রামের আয়তন কমে আসছে। আড়াই মাসে নদীতে বিলীন হয়েছে ১২০ বিঘা ফসলি জমি, যাতায়াতের রাস্তা ও শতাধিক বসতভিটা। হুমকিতে রয়েছে তিন শতাধিক পরিবার। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমণ্ডল ও বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম ও পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামে ধরলা নদীতে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। ধরলার ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, যাতায়াতের রাস্তা ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে। নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। অনেকের বসতভিটা ভেঙে যাওয়ার তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। চর গোরকমণ্ডল গ্রামে ইতিমধ্যে বালারহাট-ফুলবাড়ী সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবার। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। পূর্ব ধনিরাম গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, মতিয়ার, ছাইফুল, মজিবর রহমান ও মোস্তফা সরকার বলেন, ‘ধরলার ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। এক সপ্তাহে গ্রামের ছয়জনের বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। আমাদের যাতায়াতের দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন জমির আইল দিয়ে উপজেলা সদরসহ হাটবাজারে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’ পূর্ব ধনিরাম গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাছুমা আকতার বলে, ‘আমাদের বিদ্যালয়টি নদীতে ভেঙে গেলে আমরা কোথায় পড়াশোনা করব?’ পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামের নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমার সাত বিঘা ফসলি জমি ছিল। তাতে চাষাবাদ করে সংসার চালাতাম। ভাঙনে সব জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন, চর গোরকমণ্ডল এলাকার ভাঙন রোধে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশসহ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) পাঠানো হয়েছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে পাউবো ২০০ জিও ব্যাগ দিয়েছে, যা দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধরলা ও তিস্তা নদীর যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, ওই সব এলাকা পরিদর্শন করে নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলার কিছু কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের কাজ চলমানও রয়েছে।