স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভোলা তজুমদ্দিন উপজেলার আমন ধান চাষে নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। এ যেন বসন্ত বাতাসে আমন ধানের সবুজ ঢেউ কৃষকদের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজপাতা ও কাঁচা শীষ। কয়েকদিনের মধ্যেই শীষে দুধ-দানা গঠন শুরু হবে। আর এমন সবুজ সমুদ্রের ঢেউয়ে দুলে উঠছে প্রকৃতি। রোপা আমন ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।
ধানের কাঁচা শীষ দেখে আনন্দে বুক ভরে উঠে কৃষকের মন। তবে কৃষি বিভাগের দাবি, অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথা সময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে এবার আমন চাষের বা¤পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের কৃষক আজাদ জানান, এবারে চারা রোপনের সময় আমাদের প্রাকৃতিক ভাবে কোন সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়নি। এবার আমাদের এলাকায় বন্যার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশানুুরুপ ফলন ঘরে তোলা সম্ভব।
ক’দিন পরেই ধানের সবুজ চারা এবং কাঁচা শীষ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালি ধানের শীষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। সোনালি ধানে ভরে উঠবে কৃষাণীর শূন্য গোলা। আমন মৌসুমকে ঘিরেই এমন স্বপ্ন দেখছে এ অঞ্চলের কৃষকরা।
তবে কোনো ধরণের প্রাকৃতিক দূর্যোগ না ঘটলে বিগত বছরের তুলনায় এবার তারা ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবেন। ধান ক্ষেতে দুই দফায় সার-কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। ধানগাছের চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে এবারে ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। সরকার যদি ধানের ন্যায্য দাম দেয় তাহলে লাভবান হবেন কৃষকরা।
তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা আমন ধানে লাভবান হবে। এ বছর তজুমদ্দিন উপজেলায় ৫ টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৮ ‘শ ২৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে জানান।