পাবনার ঈশ্বরদী শহরে এক সঙ্গে শতাধিক গ্যাসের মিনি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েকটি স্বর্ণের দোকানে আগুন ধরে যায়। এতে এক সোনার কর্মকার অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ঈশ্বরদী বাজারের চাঁদ আলী মোড়ে রত্মা জুয়েলার্সে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ উজ্জ্বল কর্মকার (৪৪) ঈশ্বরদীর নুরমহল্লার বলয় চন্দ্র কর্মকারের ছেলে ও রত্না জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী। তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে ঝলসে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, উজ্জল কর্মকার জুয়েলার্সের পাশাপাশি জুয়েলার্সের কাজে ব্যবহৃত মিনি সিলিন্ডারের ব্যবসা করতেন। জুয়েলার্সের দোকানে একটি সিলিন্ডার দিয়ে সোনা গলানোর কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ হয়। এতে পাশে থাকা আরও প্রায় শতাধিক সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে উজ্জলের জুয়েলার্সের দোকানসহ আশপাশে কয়েকটি দোকানে আগুন ধরে যায়। আগুনে উজ্জ্বল গুরুতর ভাবে দগ্ধ হোন। দগ্ধ উজ্জ্বলকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর অপু কুমার মুন্ডো জানান, উজ্জলের জুয়েলার্সের দোকানের একটি ছোট সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে আরও বেশ কিছু সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দোকানের শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আরও কয়েকটি দোকানে আগুন ধরে যায়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায়নি।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, সোনার কর্মকার উজ্জ্বলের হাত পা মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। তার গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে।