পলাশ চন্দ্র দাসঃ
আগামী কাল ৩১ শে ভাদ্র,১৪২৯ বাংলা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইঃ,শনিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেগে প্রতি বছরের নেয় এবছর স্ব রোড় ফার্নিচার ব্যবসায়ীক পরিষদ, ও শিল্পকারিকর বৃন্দের উদ্দেগে, বাৎসরিক শ্রী শ্রী বিশ্বকর্ম্মা পূজার আয়োজন করা হয়েছে। স্ব রোড ফার্নিচার ব্যবসায়ীক এর সভাপতি, নারায়ন চন্দ্র বালা যানান মহামারি করোনা ভাইরাসেরর কারনে ,জনসমাগন এরাতে নিয়ম রক্ষাতে, বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস থেকে রোগমুক্তি কামনায়। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য বিশেষ প্রার্থনা সহ, সম্পুন্ন অনাড়ম্বর পরিবেশে, শ্রী শ্রী বিশ্বকর্ম্মা পূজা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার অনুষ্ঠান করা হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যয় এবছর ৩১ ভাদ্র শনিবার সকাল ১০ টায় বিশ্বকর্ম্মার পূজার মঙ্গল শোভাযাত্রা,করা হবে। উক্ত শোভাযাত্রা শুভ উদ্ধোধন করবেন।
রাখাল চন্দ্র দে, সভাপতি ধর্মরক্ষিনী সভা বরিশাল। এ্যাড, রফিকুল ইসলাম খোকন, ২ নং প্যানেল মেয়র ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল বিসিসি । নিরব হোসেন টুটুল, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগ। কহিনুর বেগম মহিলা কাউন্সিল ৭,৮,৯,নং ওয়ার্ড বিসিসি বরিশাল। অধ্যাপক গৌরাঙ্গ চন্দ্র কুন্ডু,মহানাম সম্প্রদায় বরিশাল। সুরঞ্জিত দত্ত লিটু,বিশ্বজিৎ ঘোষ বিশু,নারায়ন চন্দ্র দে নারু।তিনি আরো বলেন ৩১ ভাদ্র শনিবার সকাল ১০ টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা, দুপুর ১২টা ১ মিনিটে শিল্পকর্মময় সকল মানুষের মঙ্গল ও শান্তি কামনায় শিল্পকর্মের ধারক ও বাহক শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মাদেবের পূজা বিশ্বের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা। দুপুর ২ টায় প্রসাদ বিতরন ও সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে বিশেষ আরতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন কাঠের আসবাবপত্র ব্যবসায়ীক ও কারিগরবৃন্দ।
বেদে বিশ্বকর্ম্মাকে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তারূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস মতে তিনি বিশ্বের তাবৎ কর্মের সম্পাদক। তিনি শিল্পসমূহের প্রকাশক, অলঙ্কার শিল্পের স্রষ্টা, দেবতাদের গমনাগমনের জন্য বিমান নির্মাতা ইত্যাদি। অর্থাৎ শিল্পবিদ্যায় তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। তাই যাঁরা শিল্পকর্মে পারদর্শিতা লাভ করতে চান, তাঁরা বিশ্বকর্ম্মার অনুগ্রহ কামনা করেন। রামায়ণে বর্ণিত অপূর্ব শোভা ও সম্পদবিশিষ্ট লঙ্কা নগরীর নির্মাতা বিশ্বকর্মা বলে কথিত। তিনি উপবেদ, স্থাপত্যবেদ ও চতুঃষষ্টিকলারও প্রকাশক। দেবশিল্পিরূপে তিনি দেবপুরী, দেবাস্ত্র ইত্যাদিরও নির্মাতা। জনশ্রুতি আছে যে, পুরীর প্রসিদ্ধ জগন্নাথমূর্তিও বিশ্বকর্ম্মা নির্মাণ করেন।