আকাশ ইসলাম:
১৪ই নভেম্বর থেকে এসএসসি-২১ ব্যাচের বোর্ড পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
আশা করি সবাই তাদের প্রত্যাশামত ফলাফলই অর্জন করবে।
পরীক্ষার এই শেষ মূহুর্তে অপ্রত্যাশিত চাপ না নেওয়ার অনুরোধ থাকবে।
যেহেতু পরীক্ষার মাঝে গ্যাপ আছে এবং সিলেবাস ছোট তাই আশা করি সবাই মনোযোগ দিয়ে ঠান্ডা মাথায় পড়লে ইনশাআল্লাহ সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে পারবে।
🌸🌸নিচে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি যেগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখার অনুরোধ রইল🌸🌸
১.পরীক্ষার আগের রাতেই কলম,পেন্সিল,প্রয়োজনীয় কাগজগুলো গুছিয়ে রাখতে হবে।
২.সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরীক্ষার দিনে সকালের জন্য কোনো পড়া রেখে দেওয়া যাবে না।
আগের রাতেই সব পড়া কমপ্লিট করতে হবে।
যথাসম্ভব দিনের বেলায় সময় নষ্ট না করে পড়াটাকে কমপ্লিট করতে হবে।
৩.
কলম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
অনেকেই বিভিন্নজনের কাছ থেকে কলম উপহার পেয়ে থাকে,কিন্তু মনে রাখতে হবে যেই কলম ব্যবহার করে আপনি অভ্যস্ত সেই কলম দিয়েই খাতায় লেখা উচিত।
৪. পরীক্ষার এই কয়দিন নিজের কাছ থেকে মোবাইল-ফোনটা দূরে রাখতে হবে।
ফোন হাতে থাকলেই মনে হবে ৫মিনিট মেসেঞ্জার থেকে ঘুরে আসি অন্যরা কি করছে সেটা দেখার জন্য ।
কিন্তু এই ৫মিনিটের জায়গায় অনেক সময় অপচয় হবে।পরীক্ষার কয়েকদিন ফোন বাসায় জমা দেওয়াই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হবে।
৫.পরীক্ষার দিয়ে আসার পর কি ভুল হলো না ঠিক হলো এটা দেখার একদম দরকার নেই।
এটা বরং মানসিকভাবে আরও চাপের সৃষ্টি করবে।
৬.এমসিকিউ সমাধানের জন্য রাফ হিসেবে শেষের দিকের একটা পৃষ্ঠা ব্যবহার করা যাবে।
আর অবশ্যই লেখাগুলো ক্রস চিহ্ন দিয়ে কেটে দিবেন।
৭.পরীক্ষার আগের দিন পড়া শুরু করার আগে একটা প্লান করে নিতে হবে,সব অধ্যায়ের সবকিছু পড়ে শেষ করা কঠিন হবে।
তাই অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ার অনুরোধ রইল।
৮.পরীক্ষার হলে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই কারো কাছ থেকে বলা নেওয়ার চাইতে নিজে যা পারেন লেখার চেষ্টা করবেন,এতে করে সময়ের অপচয় হবে না।
৯.নিজের শরীর যদি ভালো না থাকে,তাহলে পরীক্ষা দিতেও কিন্তু সমস্যা হবে।
তাই রাত জাগা যাবে না,ঠান্ডা যাতে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
১০.এখন সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে,তাই যতটুকু পারেন লিখে আসবেন।
একটা অঙ্কের যদি ৩ভাগের এক ভাগও ঠিক হয় তাও মার্কস পাবেন।
তাই অবশ্যই যা পারেন লিখতে হবে।