Sunday , 24 July 2022 | [bangla_date]
  1. Development By Sahon Srabon
  2. অন্যান্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. চাকরির খবর
  6. জাতীয়
  7. তথ্য ও প্রযুক্তি
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. শোকাহত
  11. সারাদেশ

দৌলতখানে মজিববর্ষের ঘর নির্মানে অনিয়ম

 

স্টাফ রিপোর্টারঃভোলার দৌলতখানে মজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চরপাতা ও চরখলিফা ইউনিয়নে বর্তমানে ২১৪ টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। যা আজ বৃহস্পতিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে উদ্বোধনের পর গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে চাবি হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার সরেজমিনে গেলে জানা যায়, এসব ঘর নির্মাণে নিম্ম-মানের ইট ও কাঠ ব্যবহার করা হয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসময় নির্মাণ শ্রমিকরা বলেন, প্রথমে ভালো ইট আসলেও পরবর্তীতে দুই নাম্বার ইট আসে। এসময় নির্মাণ কাজের শ্রমিকরা হাতে টিপ দিয়ে ইট ভেঙে দেখান। চরপাতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রহিমা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। জীবিকার তাগিদে ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চলে। পরিবারের চার সদস্যের মধ্যে সবাই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। এক মেয়ে সালমার জন্য মুজিববর্ষের একটি ঘর অবেদন করি, কিন্তু অর্থের কাছে তাও হেরে যায়। তিনি আরও বলেন, যার টাকা আছে সে ঘর পেয়েছে। আমরা টাকা দিতে পারেনি, তাই ঘর পাইনি। একই ওয়ার্ডের সেরাজল হকের ছেলে মোসলেউদ্দিন জানান, নিরিহ মানুষরা ঘর পাইনি। অথচ যাদের ঘর আছে,তারা ঘর পেয়েছে। যারা ১০/৩০ হাজার টাকা দিয়েছে তারাই ঘর পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েকটি চক্র মুজিববর্ষের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১০/১২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চরখলিফা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সৈয়দ ইসলাম জানান, স্থানীয় ফারুক নামের একজনকে ১২ হাজার টাকা দিয়েছি। সে ঘরের খরচ বাবদ নিয়েছে। একই অভিযোগ করেছেন অনেকে।
জমি বিক্রেতা মাহবুব মুঠো ফোনে জানান, ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা জমির মূল রয়েছে। কিন্তু আমাদের ৯০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা দিয়েছে। বিষয়টি আমি প্রশাসনিক উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। এর কোন সুরাহ হয়নি। এব্যাপারে আমি আইনের আশ্রয় নিবো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এইচ এম আনসার বলেন, নিম্মমানের ইটের বিষয়ে আমিও স্যার কে কয়েকবার বলেছি। এব্যাপারে স্যারের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি।
এব্যাপারে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ তারেক হাওলাদারের ০১৮২৯৪৩৯১৫৪/০১৭০৩৪৬৪৩২৬ নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তাই বক্তব্য দেওয়া সম্ভাব হয়নি। ভোলা জেলা প্রশাসক মো: তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

নরসিংদীর রায়পুরায় নিয়ন্ত্রনহীন কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ৫ সবজি বিক্রেতা নিহত

আগে কোন সরকারের সময় কোন কাজ হয়নি: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

গলাচিপা থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুতি করণে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি- এস এম শাহজাদা (এমপি)

বরিশালে রামদা নিয়ে ইউপি সদস্যকে চেয়ারম্যানের ধাওয়া

বরিশালে প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা

কালিগঞ্জে উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

নগরীর লঞ্চঘাটে পথশিশুদের দিয়ে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে মুন্না -যুথি!

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামে ধরলা নদীর ভাঙন।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বন্যা-পরবর্তী ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে কয়েকটি গ্রামের আয়তন কমে আসছে। আড়াই মাসে নদীতে বিলীন হয়েছে ১২০ বিঘা ফসলি জমি, যাতায়াতের রাস্তা ও শতাধিক বসতভিটা। হুমকিতে রয়েছে তিন শতাধিক পরিবার। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমণ্ডল ও বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম ও পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামে ধরলা নদীতে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। ধরলার ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, যাতায়াতের রাস্তা ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে। নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। অনেকের বসতভিটা ভেঙে যাওয়ার তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। চর গোরকমণ্ডল গ্রামে ইতিমধ্যে বালারহাট-ফুলবাড়ী সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবার। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। পূর্ব ধনিরাম গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, মতিয়ার, ছাইফুল, মজিবর রহমান ও মোস্তফা সরকার বলেন, ‘ধরলার ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। এক সপ্তাহে গ্রামের ছয়জনের বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। আমাদের যাতায়াতের দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন জমির আইল দিয়ে উপজেলা সদরসহ হাটবাজারে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’ পূর্ব ধনিরাম গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাছুমা আকতার বলে, ‘আমাদের বিদ্যালয়টি নদীতে ভেঙে গেলে আমরা কোথায় পড়াশোনা করব?’ পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামের নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমার সাত বিঘা ফসলি জমি ছিল। তাতে চাষাবাদ করে সংসার চালাতাম। ভাঙনে সব জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন, চর গোরকমণ্ডল এলাকার ভাঙন রোধে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশসহ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) পাঠানো হয়েছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে পাউবো ২০০ জিও ব্যাগ দিয়েছে, যা দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধরলা ও তিস্তা নদীর যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, ওই সব এলাকা পরিদর্শন করে নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলার কিছু কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের কাজ চলমানও রয়েছে।

ভোলা চরফ্যাশনে দুলার হাট থানাধীন ঘোষের হাট বাজারে টিভি চাওয়া কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত দুই

পদ্মা সেতুর সুফলে বন্ধ হলো গ্রিন লাইন