নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাভার্ডভ্যানের চাপায় সবজি বাজারের ৫ জন সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত আরও ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা সকলেই সবজি বিক্রেতা ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটায় রায়পুরা উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ মেশিনঘর নামক এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতের বাজারে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে ফারুক মিয়া (৫০), মাহমুদাবাদ মিস্ত্রিবাড়ির তায়েব মিয়ার ছেলে মাসাকিন (৩৫), মাহমুদাবাদ টানপাড়া এলাকার সেন্টু মিয়ার ছেলে মো রিপন মিয়া (৩০) ও মাহমুদাবাদ এলাকার পাগলা বাড়ির বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাজাহান মিয়া(৫০), মাহমুদাবাদ সর্দার বাড়ির জনব আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৬৫)।
তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। আহতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জনা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সবজির হাট জমে। পরে আজ ভোরে ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জননী কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যান মাহমুদাবাদ মেশিনঘর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আশা আরেকটি কাভার্ডভ্যান ক্রশ করার সময় ২টি কাভার্ডভ্যানই নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যায়। ফলে একটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে মাহমুদাবাদ মেশিন গড় এলাকায় রাস্তার পাশে জমে থাকা সবজির হাটে ঢুকে পড়ে। এসময় বেশ কিছু দোকান ও ইজিবাইককে চাপা দেয় কাভার্ডভ্যানটি। ফলে সেখানে থাকা ৪ জন সবজি বিক্রেতা নিহত সহ বেশকিছু লোকজন আহত হয়। এ ব্যাপারে ভৈরব বাজার ফায়ারসার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ আজিজুল হক বলেন, দুইটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিকে চলে যায়। আমরা ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসে উদ্ধার কাজ শুরু করি।
ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক ওসি মোজাম্মেল হোসেন জানান, সকাল ৬টার দিকে মহাসড়কের মহামুদাবাদে নিয়ন্ত্রন হারানো কাভার্ডভ্যানের চাপায় ঘটনাস্থলে দুইজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও ১জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হলে স্থানীয়রা ও পুলিশের সহায়তায় বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চালক ঘুমিয়ে পাড়ার কারণে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছি।