রিপন রানা ///বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের এস আই আবুল বাশারএর বিরুদ্ধে নারী ছাড়া ঘর তল্লাশির নামে নাটকীয় অভিযান চালিয়ে গাঁজা সহ এক নারীকে আটক করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
আটককৃত নারী রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ বাদল খানের স্ত্রী মালেকা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক ২ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্টিমার ঘাট পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মোঃ আবুল বাসার মালেকা বেগমের ঘর তল্লাশি করেন।
এসময় তাঁর ঘরের সানসেট থেকে পাঁচ শত গ্রাম গাঁজা সহ তাঁকে আটক করেন। তবে ঘর তল্লাশি করার সময় তার সাথে কোনো নারী পুলিশ সদস্য ছিলোনা।
এছাড়াও স্থানীয়রা জানান, মালেকা বেগমের ঘর তল্লাশি করে সানসেট থেকে প্রায় দুই কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু আবুল বাসার মোটা অংকের উৎকোচ বানিজ্যের করে স্যারে পাঁচ শত গ্রাম দেখাইয়া মামলা করেন।
ভুক্তভোগীর দাবি করে জানান, গত রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রসুলপুর এলাকার টেইল্লা মনিরের স্ত্রী নিলুফা বেগমের সাথে জাহেরা বেগমের চায়ের দোকানের সামনে ঝগড়া হয়।
এনিয়ে উভয়পক্ষের ভিতরে মিমাংসা করার কথা বলে তাঁর ঘরে, কুলছুম বেগম,লিপি বেগম, ডিপু, মনির, নিলুফা,মিনারা,জসিম, কালুসহ ১৬/২০ পুরুষ ও মহিলা মিলে তার বাসায় আসেন। তিনি আরও বলেন,এই মাল( গাঁজা) মোর না, মনির ঘরে থুইছে, মুই মাল বেচি না। মোর মাইয়ায় গাঁজা বেঁচে কিন্তু ওরা ঘরে আসে না।
সানি নামে এক যুবতী বলেন,মিনারা বেগম নামে এক মহিলার সাথে বাচ্চাদের নিয়ে ঝগড়া হয়। লিপি আইয়া অন্য একটি কক্ষে বসে মিলাইয়া দেওয়ার কথা বলে রুমে ডাকে। তিনি আরও বলেন এখানে অনেক মহিলা ও পুরুষ ছিলো। তোমার যদি কাউকে সন্দেহ হয় তার নাম বলো।
ভুক্তভোগীর মেয়ে বিথী বলেন,আজ আমার ছোটো ভাইয়ের সাথে নিলুফার বাচ্চার সাথে ঝগড়া হয়। তারই জের ধরে নাটকীয় ভাবে ঘরের ভিতরে গাঁজা রেখে আমার মাকে ধরিয়ে দেয়।
তবে আমরা জানতে পারি আবুল বাশার স্যার রসুলপুর এলাকার একজনের মামা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক ২ টার সময় মালেকা বেগমের ঘরে তল্লাশি করার জন্য কবির এর নৌকায় আবুল বাসার ও কনস্টেবল পার হয়।দ্বিতীয় বার অন্য একটা টিম তাওহীদ এর নৌকায় চার জন পার হয়। তৃতীয় বার অন্য একটা টিমের দুই জন নৌকায় পার হয়। তবে এটা অভিযানের নামে মোটা অংকের টাকা খেয়ে মালেকা বেগমকে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
স্থানীয় আরও একটি সূত্রে জানা যায়, স্টিমার ঘাট পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মোঃ আবুল বাসার এর ভাগ্নী রসুলপুর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের দালাল কুলসুম বেগম, ও আবুল বাশারের ভাবি বেবী বেগম। রসুলপুর এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে হাত মিলিয়ে মোটা অংকের মাসিক বিটে কাজ করবেন আবুল বাশার।
ঘটনা স্থালে একাধিক মহিলা ও পুরুষ উপস্থিত থাকলেও কেউ সাক্ষী দিতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে সোহাগ নামে এক যুবককে সাক্ষী রাখেন। ঘটনা স্থাল থেকে উদ্ধারকৃত গাঁজা তাৎক্ষণিক থানায় জমা না দিয়ে,স্টিমার ঘাট পুলিশ ফাঁড়ীতে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ফাঁড়ীর ভিতরে বসে পেপারের ওপর রেখে প্যাকেট করেন। প্যাকেট করার সময় পড়ে যাওয়া গাঁজার গুড়ি, আম গাছের ঘোরায় ফালায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে হলে আম গাছের ঘোরায় দেখলেই পাওয়া যাবে।
এছাড়াও আবুল বাশার এর বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জে তার নিজ গ্রামে জমি জমাসহ একাধিক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। তার বোন জামাই পলাশ নামে এক যুবক নিজেকে বাকেরগঞ্জ থানার এস আই পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে হুমকি প্রধান করেন।
কিছুূদিন আগে স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ আবুল বাশার এর বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ডিউটির পোশাক ছাড়াই নরমাল পোশাকে ডিউটি করেন।
একটি সূত্রে জানা যায়, স্টিমার ঘাট ফাঁড়ীর ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশার এর বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কাছে বাই নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতম কর্মকর্তা ঘটনা স্থাল তদন্ত করলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে। স্টিমার ঘাট পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মোঃ আবুল বাসার ও কনস্টেবল লুৎফর রহমান তার নিজ কক্ষে বসে গাঁজা কমিয়ে আধা কেজির প্যাকেট করেন।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজিমুল করিম মুঠোফোনে কল দিলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মোঃ আবুল বাশার বলেন আমি কিছু করলে তা পুলিশের উর্ধ্বতম কর্মকর্তারা জানে আমি কি একা খাই সবাই ভাগ পায়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতম কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী পরিবার। বিস্তারিত আরও আসছে আগামী পর্বে,,,,