বরিশালে লঞ্চে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়
পারভেজ, বরিশাল প্রতিনিধিঃ
সেই চিরচেনা রূপে ফিরেছে বরিশালের লঞ্চ ঘাট, ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের লঞ্চঘাটে ছুটে আসা, তাদের তোলার জন্য লঞ্চকর্মীদের হাঁক-ডাক, টিকিট পেতে চলছে যাত্রীদের দৌড়ঝাঁপ- ধাক্কাধাক্কি।
অথচ গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বদলে যায় লঞ্চঘাটের স্বাভাবিক চিত্র,যাত্রী খরায় ভুগছিল
লঞ্চগুলো। কিন্তু কুরবানির ঈদযাত্রার ৬ষ্ঠ দিনে নদী
বন্দর ফিরে পেয়েছে তার চিরচেনা ব্যস্ততম চেহারায়।
শুক্রবার ১৫ই জুলাই লঞ্চঘাটে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে গত কয়েক দিন ফাঁকা থাকার পর ফের লঞ্চগুলো ভরতে দেখে হাসি ফিরেছে কর্মীদের মুখে। এর আগে যাত্রীদের নানা সুবিধা দিয়েও যাত্রী
পাচ্ছিলনা লঞ্চগুলো। অবশেষে কেটেছে সেই খরা।
ঈদুল আজহার ছুটিতে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী
নিয়ে লঞ্চ ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। আগামী কয়েকদিন ঈদ উপলক্ষে এমন যাত্রী চাপ
থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক লঞ্চের টিকেট কাউন্টার ও সংশ্লিষ্টরা
জানান, ডেকে ভিড় বেশি, মধ্যম আয়ের মানুষেরাই ডেকে যাচ্ছেন। কেবিনগুলো পরিপূর্ণ হতে শুরু করেছে,এখন আগের চেয়ে যাত্রীর চাপ
অত্যন্ত বেশি।
যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে ঢাকা-বরিশাল রুটে
থাকছে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস,নির্ধারিত ট্রিপের চেয়ে
অতিরিক্ত লঞ্চ সার্ভিস দিচ্ছে।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর উদ্দেশ্য যাওয়ার জন্য পারাবাত-১৮, সুন্দরবন-১০,১১, কীর্তনখোলা-১০,এ্যাডভেঞার১,৯,মানামীসহ বিলাসবহুল ১৪টি বড় লঞ্চ চলাচল করেছে বরিশাল -ঢাকা রুটে।
সুরভী ৮ লঞ্চের এক যাত্রী ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে কেবিন নিয়েছেন
১হাজার টাকায়। তিনি বলেন, আগে চিন্তাই করা যেত না ঈদের সময় ঘাটে এসে কেবিন পাব।অস্বাভাবিক ভিড় হলেও গন্তব্যে যেতে পেরে খুব খুশি।
পারাবাত-১৮ লঞ্চের কর্মী
শামীম হোসেন বলেন, ঈদে অবশেষে যাত্রী ফিরেছে লঞ্চে,যাত্রী খরায় ভোগার শঙ্কা থাকলেও সেটার বদলে ভালো যাত্রী পাচ্ছি।