আসন্ন পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষদিন আজ (মঙ্গলবার)। শেষদিনেও অগ্রিম টিকিট পেতে কাউন্টারে টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়। সরেজমিনে টিকিটপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই সোমবার (৪ জুলাই) থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে আবার তারও আগ থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
রাজধানীর বনশ্রী থেকে আসা জুনায়েদ হোসেন বলেন, গত পরশুদিন মানে রবিবার (৩ জুলাই) বিকালে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ায় টিকিট কাটতে পারিনি। সামনে আটজন রয়েছে আজকে টিকিট পাবো আশা করি। বাসে গেলে অনেক খরচ হয়। ট্রেনে অনেক কম খরচেই বাড়ি যেতে পারি।
শিপন শেখ বলেন, সোমবার এসে লাইনে দাঁড়িয়েছে। গাইবান্ধা যাওয়ার জন্য বাসে কোনো টিকিট পাইনি। ট্রেনের টিকিট কাটতে আসলাম অনেকটা বাধ্য হয়েই।
আশুলিয়া থেকে আসা আবু সুফিয়ান সোহাগ বলেন, ৭ ও ৮ তারিখ বাসের কোনো টিকিট নেই। লোকাল বাসে পরিবার নিয়ে যাওয়া খুব কষ্টের, তাই ট্রেনের টিকিটের জন্য অনলাইনে বহুবার চেষ্টা করেছি কিন্তু কাটতে পারিনি। বাধ্য হয়েই আশুলিয়া থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি।
একতা এক্সপ্রেসের টিকিট কাটতে রবিবার লাইনে এসে দাঁড়ান আতিক ফয়সাল। সোমবার সকালে কাউন্টারে সামনে আসার আগেই টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকে এখনো লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।
তিনি বলেন, ইদে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাবো। পরিবারের অনেকে বাসে যেতে পারে না বলেই ট্রেনের টিকিট নিতে আসলাম। কিন্তু রোববার লাইনে দাঁড়িয়েও সোমবারও টিকিট পাইনি। ভাই লাইনেই দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। আশাকরি, আজকে টিকিট পাবো।
গত ১ জুলাই শুরু হয় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। সেদিন দেওয়া হয়েছে ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট। এরপর ২ জুলাই দেওয়া হয় ৬ জুলাইয়ের টিকিট, ৩ জুলাই দেওয়া হয় ৭ জুলাইয়ের টিকিট, ৪ জুলাই দেওয়া হয় ৮ জুলাইয়ের টিকিট এবং আজ ৫ জুলাই দেওয়া হবে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট।
এছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। ওই দিন ১১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের টিকিট, ৯ জুলাই দেওয়া হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকিট, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। এর মধ্যে ১০ জুলাই ঈদ হলে ১১ জুলাই সীমিত কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। তবে ১২ জুলাই থেকে সব ট্রেন চলাচল করবে।