চরফ্যাশন প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশনের কাশেমগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ ও ঈদগাহের জন্য গত অর্থবছরে বরাদ্দকৃত নির্মিত সরকারী দুই কক্ষের শৌচাগার ভেঙে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জিন্নাগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিব উল্ল্যাহ দুলালের বিরুদ্ধে। গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার দু’দফায় মসজিদ কমিটিকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে টেন্ডার ছাড়াই নবনির্মিত শৌচাগারটি ভেঙে নেন তিনি। এতে বিপাকে পরেছে ওই মসজিদে নামাজ পড়তে আসা শতাধিক মুসুল্লিরা। মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় মসজিদের মুসুল্লিদের শত বাধা উপেক্ষা করে প্রভাব খাটিয়ে জোরপুর্বক সরকারী ভাবে বরাদ্দ দেয়া শৌচাগারটি ভেঙে নিয়ে যান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, গত অর্থবছরে কাশেমগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ ও ঈদগাহের জন্য সরকারী ভাবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি শৌচাগার বরাদ্দ হয়।ওই বছরের সম্প্রতি সময়ে শৌচাগারটি নির্মান ও টিউবওয়েল বসানো কাজ শেষ হলে মসজিদের মুসুল্লিরা ব্যাবহার শুরু করেন। গত বুধবার হঠাৎ করে ইউপি সদস্য হাবিব উল্লাহ দুলাল মসজিদের শৌচাগারটি ভেঙে ফেলা শুরু করলে মসজিদ কমিটির সদস্যরা বাধা দেন। কিন্তু এতে বন্ধ হয়নি শৌচাগার ভাঙ্গা। গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার দু’দফায় শৌচারগারটি ভেঙে ইট, খোয়া,রড, স্টিলের দরজাসহ সব মালামাল তার বাড়িতে নিয়ে যান।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল মালেক মিয়া জানান,কাশেমগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ ও ঈদগাহের জন্য গত বছর সরকারী ভাবে একটি টিউবয়েল ও শৌচাগার নির্মান করা হয়। কোন রকম পরিতিক্ত ঘোষনার আগেই টেন্ডার ছাড়া ইউপি সদস্য হাবিব উল্লাহ দুলাল শৌচাগারটি ভেঙে নিয়ে যান। মসজিদ কমিটির সদস্যরা বাধা দিলেও তিনি প্রভাব খাটিয়ে শৌচারগারটি ভেঙে ইট, খোয়া,রড, স্টিলের দরজাসহ সব তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এতে মসজিদে আসা মুসুল্লিরা প্রকৃতডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিপাকে পরেছেন।
ইউপি সদস্য দুলাল জানান, শৌচাগারটি মুসুল্লিদের কোন উপকারে আসেনা তাই তিনি ভেঙে নিয়ে গেছেন। এখনও সেখানে কিছু মামলামাল পরে আছে কারো লাগলে নিতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান জানান, সরকারী ভাবে বরাদ্দকৃত কোন স্থাপনা অনুমতি ছাড়া কেউ ভেঙে নিতে পারবেনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।