নিজস্ব প্রতিবেদক <<>>বরিশালে পাওনা টাকা না দেওয়ায় আড়ৎদারের হাতে রসুলপুর এলাকার এক বৃদ্ধ খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা, শাহ আলম (৪০) বরিশাল নগরীর রসূলপুর এলাকার বাসিন্দা । তিনি নগরীর পোর্ট রোডে, বালুর ঘাট, ফলের আড়ত সুজন বাণিজ্য ভান্ডারে কাজ করতেন। পরে সিএনজিচালিত থ্রি হুইলার চালানো শুরু করেন। শাহ আলমের শুভ বলেন, ‘শাহ আলম ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুজন খানের আড়তে কাজ করতেন। সুজন খান ১৬ শ টাকা পেতেন শাহ আলমের কাছে। রোববার রাত ১১টার দিকে শাহ আলম থ্রি হুইলার নিয়ে রসূলপুর ফিরছিলেন। পথে সুজন খান লোকজন নিয়ে শাহ আলমকে ধরে পোর্ট রোডে, বালুর ঘাট, নিজের আড়তে নিয়ে যান।গত(২৮ আগষ্ট) রবিবার রাত আনুমানিক ১১টার সময় লঞ্চঘাট সংলগ্ন বালুর ঘাটে (মেসার্স সুজন বানিজ্য ভান্ডারে)। এসময় পরিচালক সুজন, শাহ আলম এর কাছে পাওনা টাকা চায় । এসময় শাহ আলম কিছুদিন সময় চাওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে, তার অফিস কক্ষে আটকিয়ে সুজন, সজল, খোকন, মিলন সহ৬/৭ জন মিলে শাহ আলমকে সেখানে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে পাওনা টাকা না পেয়ে শাহ আলমের থ্রি হুইলারটি রেখে তাকে রিকশায় তুলে পাঠিয়ে দেন ছাত্রদল নেতা সুজন। কিন্তু যাওয়ার পথে রাস্তায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা সুজন খানের মোবাইলে ফোন করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রথমে শুনেছিলাম রাত ৩টার দিকে রিকশায় বাসায় যাওয়ার পথে রসূলপুর ব্রিজে অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহ আলম। রিকশা চালক তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি, মারধরে শাহ আলমের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ছেলে শান্ত প্রতিবেদকে জানান, যদি পুলিশ প্রশাসন ঘটনা স্থলে গিয়ে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে বিষয় নিশ্চিত হতে পারবে এখানে কি হয়েছিল। তিনি আরো বলেন আমার বাবাকে যারা নির্মমভাবে পিটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ বিষয় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।