মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল, পটুয়াখালী। গলাচিপা উপজেলার চরব্শ্বিাস ইউনিয়নের নমো স্লুইসগেট বাজারে বুধবার বিকেলে বিয়ের দুই বরযাত্রীর মাথা কামিয়ে আলকাতরা লাগিয়ে দেয়ার ঘটনায় ইউপি সদস্য মোঃ সায়েম গাজীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগী দুই জনের একজন বাদী হয়ে মো: তুহিন মিয়া ৯ জুন বৃহস্পতিবার গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দালতে একটি মালা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভিস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালত এর বিচারক মোঃ মামুনুর রহমান। যার মামলা নম্বর সিআর ৪২৯। মামলা ও ভূক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নুরু সরদারের মেয়ের সাথে একই ইউনিয়নের চরবাংলা গ্রামের মজিদ মৃধার ছেলে তাহিদুলের বিয়ে অনুষ্ঠানে বরযাত্রী হিসেবে তুহিন হোসেন ও কালু গাজী অংশ গ্রহন করে। এসময় ভূক্তভোগী কালু মিয়ার আত্মীয় মো. সাইদুল প্যাদার সাথে পূর্বের একটি তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তুহিন এগিয়ে গেলে সাইদুল ক্ষিপ্ত হয়ে কালু ও তুহিনকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও চরড় থাপ্পর মারে। বিষয়টি স্ব স্ব স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হাসান সরদারকে খবর দিতে বল্লে তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও ইউপি সদস্য সায়েম গাজীর নির্দেশে আশ্রায়নে নিয়ে দুই বরযাত্রীর যুবকদের হজরত হাওলাদার ও হাদি হাওলাদারের সহযোগিতায় তাদের মাথা ন্যাড়া আলকাতরা লাগিয়ে বিয়ে বাড়ির এলাকা থেকে তারিয়ে দেওয়া হয়। এবিষয়ে চরবাংলা গ্রামের ভূক্তভোগী কালু গাজীর বাবা লিটন গাজী , আমার ছেলে যদি কোন অপরাধ করে থাকতো তাহলে আমাকে বা আইনের কাছে দিত। তা না করে এ ঘটনা ঘটানোর ফলে আমি ও আমার পরিবারের কেউ লজ্জায় রাস্তায় বেড় হতে পারি না। আমার যে ক্ষতি হয়েছে তার সুক্ষ্ম বিচার চাই। এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসান সরদার আইনী সুবিচার চেয়ে এ ঘটনার তীব্র নিনন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনা সম্পর্কে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সায়েম গাজী বলেন, আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। একটি চক্র আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য এ ধরণের অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। সঠিক তদন্ত হলেই প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি তার দোষ অস্বীকার করেন। বরযাত্রীদের মাথা কামানোর বিষয়ে চরবিশ্বাস ইউপি চেয়ারম্যান মো: তোফাজ্জেল হোসাইন বাবুল মুন্সী বলেন, এ ধরণের ঘটনা যারাই ঘটিয়ে থাকুক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। যেহেতু মামলা হয়েছে, তাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধী আইনী শাস্তি পাবে এটাই স্বাভাবিক। এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ঘটনার পর সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ##