অভিযোগ সূত্রে পাওয়া যায়, দিনের পর দিন রাতের পর রাত মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বিশ্বাসেহাট এলাকার বাসিন্দা ও দোকানদার সুজন চন্দ্র দাস (৩২) তার দোকানে শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে বিয়ে দাবীতে অনশন করেন পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার পশ্চিম লক্ষীপুর ৫ নং ওয়ার্ডের নিখিল চন্দ্র মাঝির মেয়ে নিশিতা রানী দুই সন্তানের জননী। বিষয়টা নিয়ে গুঞ্জন ও কানা পোষা – পুষি শুরু হয়েছেন চরমোনাই ইউনিয়নের এলাকায়। বিয়ে করতে নারাজ সুজন চন্দ্র দাস তিনি বলেন লক্ষ টাকা চলে গেলেও বিয়ে করব না আমি। নিশিতা রানী বলেন দীর্ঘ ৭ বছর ধরে আমি অন্য পুরুষের সাথে সংসার করেছি আসছিলাম। আমার সংসারে সুখে শান্তিতে কেটেছিল। আমার ছোট ভাইয়ের বিবাহের সময় সুজন চন্দ্র দাসের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর পর থেকেই সুজন প্রতিদিনই আমাকে ফোন করে বিভিন্নভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে থাকেন । আমি কোনমতেই কু-প্রস্তাব তবে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে সুজন চন্দ্র দাস আমাকে বিভিন্নভাবে লোভ- লালসা দেখিয়ে থাকেন সুজন চন্দ্র দাস। আরো বলে থাকেন তুমি তোমার বর্তমান স্বামীকে ছেড়ে দাও আমি তোমাকে নিয়ে নতুন জীবন গর্ব এবং তোমাকে রাজ-রানী করে রাখবো। এভাবে আমাদের মাঝে কথাবার্তা হয়ে থাকে এক পর্যায়ে আমি এবং সুজন চন্দ্র দাসের প্রেমের জালে ফেঁসে সুজনের সাথে প্রেমের মায়ায় জড়িয়ে পড়ি।
দিন আর দিন সুজন চন্দ্র দাসের জন্য আমার সুখের সংসার স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়ে যায়। সুজন চন্দ্র দাস আমাকে বিয়ের কথা বলে বরিশালের চরমোনাই ইউনিয়নে আসতে বলে আমাকে। আমি চরমোনাই ইউনিয়নে এসে সুজনের কাছে পৌছালাম তখনই সুজন আমাকে দেখে না চেনার মত আচরণ করে এবং বিয়ে করতে অস্বীকারও করেন। তাদের আত্মীয়-স্বজন দিয়ে আমাকে মারধর করেন এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পাশাপাশি এলাকার নেতা- খাতারা টাকার বিনিময় নেতা গুলোকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং আমাকে বিয়ে না করে অন্যথায় হুমকি দমকি দিয়ে থাকেন। এবং সুজন চন্দ্র দাসের বাবা – মা ও আত্মীয়-স্বজন এলাকার কিছু নেতার পরামর্শ নিয়ে সুজন চন্দ্র দাসকে এলাকা থেকে বাহিরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এবং আমাকে বিয়ে করার অস্বীকার করে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতেছে সুজন চন্দ্র দাস। এভাবেই আমার জীবনটা নিয়ে ছিনিমিনি করল এখন আমাকে বিয়ে করতে নারাজ। অপরদিকে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। নিশিতা রানী আরো বলেন আমি যদি এলাকা থেকে চলে না যাই তাহলে আমার বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। চরমোনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মিলন মেম্বার তার নেতাকর্মীরা মিলে টাকার বিনিময় বিয়ে না দিয়ে আমাকে এলাকা থেকে তাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। যেকোনো সময় আমার বড় ধরনের ক্ষয়- ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে সুজন চন্দ্র দাস। একাধিকবার আমার সাথে সুজন চন্দ্র দাসের সাথে অবৈধভাবে মেলামেশা করেছেন। এখন আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন যেহেতু আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে। শেষ হয়ে গেছে সুখের সংসার বিনাশ হয়ে গেছে। সুখের সংসার নষ্ট হয়ে গেছে সুজন চন্দ্র দাসের জন্য। তাই প্রশাসনের কাছে বিনীতভাবে নিবেদন করেছি যে আপনারা ন্যায়বিচার করেন যাহাতে সুজন চন্দ্র দাসের স্ত্রী স্বীকৃতি পেতে পারি আমি। আপনাদের নিকট সদায় মর্জি হয়। আমাকে নিরাপত্তা দিন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি এভাবে কান্না করে নিশিতা রানী গণমাধ্যকর্মীদেরকে জানায়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিশিতা রানী বিয়ের দাবিতে গত ২১ জুলাই ২০২৩ ইং- রোজ শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে বিশ্বাসের হাট এলাকায় নিশিতা রানী আসেন। আমরা খবর পেয়ে সুজন চন্দ্র দাস দোকানে সামনে অনেক লোকের জড়ো হয় দেখি এবং এই মেয়ে বক্তব্য বেশ কিছু অডিও রেকর্ডিং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের”কে শোনায়। বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি সুজন চন্দ্র দাস”কে বিয়ের করার কথা বলে সুজন চন্দ্র দাস মেয়েটি”কে দেখে অনেক ক্ষিপ্ত হয়ে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেন। এবং বলে থাকেন তোকে আমি চিনি না। অডিও রেকর্ডিং কথা শুনে সুজন চন্দ্র দাস বলেন ১০ লক্ষ টাকার বিনিময় হলে নিশিতা রানীকে বিয়ে করবেন না। এলাকার অসাধু কিছু নেতারা বিষয়টা কাজে লাগিয়ে ফায়দা লোটার জন্য যাহাতে এই মেয়ে নিশিতা রানী ন্যায় বিচার না পায়। স্ত্রী স্বীকৃতি না পায়। সুজন দাসের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। নিশিতা রানী”কে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আরো বলেন আমরা এলাকাবাসী আগে থেকেই দেখছি সুজন চন্দ্র দাসের চরিত্র ঠিকি ভালো না। সুজন চন্দ্র দাস এর নারী নেশা ও মাদক নেশা রয়েছে। এবং আরো কয়েকবার সুজন দাসের বিরুদ্ধে নারী লোভির অভিযোগ উঠেছিল। বারবার বলা সত্বে সুজনের চরিত্র ভালো হয়নি। অন্যের সংসারে ভেঙ্গে দুই সন্তানের জননী ও ৭ বছরের সংসার বিনাশ করে নিশিতা রানী বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। এবং এলাকায় আসতে বলেন সুজন চন্দ্র দাস। নিশিতা রানী আসার পরে বিয়ে করার অস্বীকার করেন এই লম্পট চরিত্রহীন ও মাদক সেবনকারী সুজন চন্দ্র দাস। এলাকায় দোকানদার সেজে এভাবে অবৈধ ও খারাপ কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে সুজন এর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।
এই ঘটনা সামাজিক ও অনলাইন দৈনিক পত্রিকা বরিশালের স্থানীয় পত্রিকা গুলো সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সুজন চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে। অপরদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের অনুসন্ধানের নিজস্ব প্রতিবেদক জানতে পারে সুজন চন্দ্র দাস এলাকা থেকে দূরে চলে গেছে। কিন্তু তার আত্মীয়স্বজন এলাকার কিছু আসাদু নেতাদের দিয়ে বিষয়টি দামা-চাপা দেওয়ার জন্য টাকার বাণিজ্য খেলা শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার টাকার বিনিময়ে প্রেমিকের বাড়ি প্রেমিকার অনশন দামা-চাপা দিবে শালিস বিচারের মাধ্যমে। এইদিকে অবশ্যই আইনের বলার রয়েছে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান একজন গ্রাম্য বিচারক তিনি ৭০ হাজার টাকার বন্ডের নিচে বিচার কার্যক্রম করতে পারবে কিন্তু উভয়ের পক্ষ না মানলে আদালতের পাঠিয়ে দিতে হবে। সবকিছুই উল্টো চরমোনাই ইউনিয়নের যে কোন বিচার নারী ও শিশু -নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ, টাকা পয়সা ঝামেলা, জমি জমার ঝামেলা, মাদক বিক্রির ঝামেলা, স্ত্রীকে নির্যাতন ঝামেলা, ও বিবাহ বিচ্ছেদ ঝামেলা, সবকিছুই টাকার বিনিময় চেয়ারম্যান ও তার কিছু লোকজন বিএনপির পুরনো নেতা মিলন মেম্বারসহ যারা নিজেরাই পাঁচ – দশটি বিয়ে করেছেন তারাই মূলত বিচার করে থাকেন। টাকার যে যত দিতে পারে। বিচারব্যবস্থা সেই তত বেশি পায়। যেমন সনাতন ধর্মে এমন ঘটনা নিশিতা রানী এই ঘটনাটা টাকার বাণিজ্য ও টাকার খেলা শুরু করেছেন চেয়ারম্যান ও তার লোক জন।আমরা চোখ রাখি দেখা যাক নিশিতা রানী বিয়ের দাবির ও সুজন চন্দ্র দাসের বিচারব্যবস্থা কি করেন। নিশিদা রানী”কে ন্যায়বিচার পাবে না কি টাকার বিনিময়ে লম্পট সুজন চন্দ্র দাস পার পেয়ে যাবে। বাকি কথা বিচারক বলবেন চোখ রাখবেন আগামী পড়বে…………..
এদিকে এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনো অভিযোগ পাইনি। অবশ্যই বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে দেখেছি অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো যে অপরাধী হোক তাকে আইনের আওতায় আনবো।