স্টাফ রিপোর্টার //
বরিশাল নগরীতে ছড়িয়ে পড়িতেছে চোখ ওঠা রোগ শিশু, কিশোর, যুবক বৃদ্ধ সব বয়সের নারী-পুরুষের হচ্ছে এ চোখ উঠা রোগ। এক পরিবারে একজনের হলে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও হচ্ছে। তবে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মানছে না কেউ। রোগটি ছোঁয়াচে ফলে প্রতিদিন কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন।চিকিৎসকরা বলছেন গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে রোগটি ছোঁয়াচে ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে কালো চশমা পরে আবার অনেকে খালি চোখেই ঘুরাফেরা করেছেন এতে ওই রোগের সংক্রমন আরো বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই তাই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন মনে করেন স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বরিশাল নগরীর ৭নং ওয়ার্ড ভাটিখানা, ৪নং ওয়ার্ড আমানতগঞ্জ, ২ নং ওয়ার্ড কাউনিয়া,৫ নং ও ৬ নং ওয়ার্ড পলাশপুর, ও ৮ নং ওয়ার্ড বাজার রোডসহ অনেক ওয়ার্ডে দেখাগেছে এই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।বরিশাল নগরীর বেশকিছু লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এবং তাদের পরিবারের অনেকেই রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথম অবস্থায় চোখ চুলকায় এবং পরবর্তীতে চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে ও চোখথেকে পানি ঝরছে। এছাড়াও বাইরের আলোতে চোখ দিয়ে দেখা যাচ্ছে না। চোখ দিয়ে পেষ্টি বের হচ্ছে বলেও তারা জানান। তবে চোখ ওঠার ৫-৭দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যাচ্ছে বললেন তারা। এ রোগে আক্রান্তের কারণে বড় ধরনের কোন সমস্যা না হলেও পূর্ব সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
এবিষয়ে চোখের ডাঃ আব্দুল সালাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি ভিষন ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের এক জনের হলে, ওই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। গরম কালে এ রোগের প্রকোপ বাড়ে বলে তিনি জানান।
কনজাংটিভাইটিস বৈজ্ঞানিক নামের এ রোগটি স্থানীয়ভাবে চোখ ওঠা নামে পরিচিত। অপরিস্কার ও নোংরা জীবন যাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। তিনি আরো জানান, এই রোগের ক্ষেত্রে অগ্রিম পদক্ষেপ নেয়ার কিছু নেই। রোগিরা হাসপাতালে আসলে তারা চিকিৎসা প্রদান করছেন এবং করবেন বলেন।
তবে রোগটি যেন অন্যদের মাঝে না ছড়ায়, আক্রান্ত ব্যক্তিকে সেদিকে সচেতন থাকতে হবে বলে তিনি জানান। এ রোগের সাধারণত কোন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়না। অবস্থা ভেদে আক্রান্ত রোগীকে তিনি অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার ও এন্টিহিস্টামিন সেবনের জন্য এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার কথা বলেন।