রবিউল ইসলাম রবি ॥ বরিশাল ষ্টীমার ঘাট জামে মসজিদের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় মুসল্লিসহ ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বিষণ্ণতায় শঙ্কিত হয়ে উঠেছেন। ১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার জুম্মাবার মুসল্লিদের উপস্থিতিতে নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: জয়নাল আবেদীন আগের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে ওই মসজিদের ঈমাম মো: মাসুদ আহমেদ বলেন, সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত কেসহ সকলকে মিলেমিশে নতুন কমিটি গঠন করবে।
স্থানীয় বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, মসজিদ কমিটিতে একটানা ১৩ বছর সভাপতি ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান রিন্টু ও সম্পাদক ছিলেন নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এটিএম শহিদুল্লাহ কবির। পুরাতন এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পরই হত্যা মামলার আসামি, অসামাজিক ব্যবসায়ী, সমাজ ও আইনের দৃষ্টিতে ঘৃণিত কয়েক ব্যক্তি নতুন কমিটিতে আসার জন্য লবিং তদবিরসহ এলাকায় কমিটিতে আসার ঘোষণার জানান দিচ্ছেন। আবার পকেট কমিটি গঠনেরও পরিকল্পনা চলছে।
কারণ হিসেবে জানা গেছে, ষ্টীমার ঘাট জামে মসজিদ এর আওতায় ছোট-বড় ২০০টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মসজিদ ফান্ডে রয়েছে কোটি টাকা। তাই কমিটিতে অসৎ ব্যক্তিরা আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যা নিয়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চরকাউয়া খেয়াঘাট বাজার কমিটির সভাপতি মো: আরাফাত সিকদার বলেন, মসজিদের স্বার্থে সৎ লােক কমিটিতে আসুক। মসজিদ রাজনৈতিক মুক্ত থাকুক। একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মুনসুর উদ্দিন বলেন, সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুন্দর একটি কমিটি গঠন হোক। কিন্তু পকেট কমিটি গঠন না হয়।
স্টিমার ঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মো: নুরুল আমিন কায়েস বলেন, আমি রাজনীতি করি। কিন্ত আমি চাই মসজিদ রাজনীতি মুক্ত থাকুক। সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি কমিটিতে আসলে মসজিদের উন্নয়ন হবে। একই কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: সাদিক হোসেন বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করা সৎ মানুষ মসজিদ কমিটিতে আসলে বির্তক হবে না। সিটি মেয়র এমনটাই করবেন বলে মনে করি। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ তহিদুল ইসলাম জুয়েল বলেন, মসজিদের উন্নয়নের স্বার্থে ভালো মানুষ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন হবে, এটাই কামনা করি।
মোটর সাইকেল শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মো: মোসলেউদ্দিন মানিক বলেন, মসজিদ আল্লাহর ঘর। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে সৎ এবং এই মসজিদেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। এবং মসজিদের জন্য ভাল-মন্দ কাজ বুঝবে, তাদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন হলে ভাল হবে।
হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মো: দিদারুল ইসলাম বলেন, ত্রাস কমিটি গঠন হবার পায়তারা চলছে। কেননা অনেকেই জোর জুলুম করে কমিটিতে আসতে চায়। তবে সিটি মেয়র একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিবে এটাই কামনা করি।
বরিশাল ট্যাংক লরি মালিক সমিতির সভাপতি মো: আলাউদ্দিন আলোর ব্যবহৃত মুঠোফোনে রিং দিলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে এড়িয়ে যান।