স্টাফ রিপোর্টার ॥
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া তুষখালির আলোচিত মামলার ১নং আসামি গ্রেফতার করেছে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পরের দিন মহিন্দ্র জব্দ করেন মঠবাড়িয়ার থানা পুলিশ। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার একদল সন্ত্রাসী বাহিনী তুষখালা গ্রামের আইয়ুব আলি সিকদারের ছেলে মো: শফিকুল ইসলাম (৩৭) এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার এক পা বিচ্ছিন্ন করে এবং কুপিয়ে পেটের নাড়িগুলি বের করে দেন সন্ত্রাসীরা। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চৌকাশ পুলিশ অফিসার মোঃ নুর ইসলাম বাদলসহ তার একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মামলা সম্পর্কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার তদন্ত অফিসার মোহাম্মদ কামাল হোসেন’র জানান, অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান আছে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কে ফোন করলে তিনি জানান, আমরা ঘটনার বিষয়ে জানতে পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করি এবং ১নং আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরের দিন হামলায় ব্যবহৃত একটি মাহিন্দ্রা জব্দ করি। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। স্থানীয় গণ্যমান লোকদের কাছে মোঃ শফিকুলের আহত হওয়ার ঘটনা ও তার সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, শফিকুলের বিরুদ্ধে মারামারি ও টাকা আত্মসাৎ এবং প্রতারণাসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি মামলা চলমান আছে। স্থানীয়রা আরো বলেন, জাতীয় পার্টি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই শফিকুল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আরও জানা যায়, মামলায় বর্ণিত ৬নং আসামী খাইরুল ইসলামও জাতীয় পার্টির তুষখালী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি জাতে না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। শফিকুলের আহত হওয়ার ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কাছে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।