Saturday , 9 September 2023 | [bangla_date]
  1. Development By Sahon Srabon
  2. অন্যান্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. চাকরির খবর
  6. জাতীয়
  7. তথ্য ও প্রযুক্তি
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. শোকাহত
  11. সারাদেশ

সাপাহারে প্রতিদিন লাখ টাকার চারা বাণিজ্য

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার। এই অঞ্চলের মাটির গুণগত মান অনেক ভালো। যার ফলে শষ্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাতি লাভ করে এই উপজেলা। পরবর্তী সময়ে বিগত বেশ কয়েকবছর যাবৎ আমের চাষাবাদে সফল হবার ফলে ইতিমধ্যে আমের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। প্রতিবছর এই এলাকায় বাড়ছে আমের চাষাবাদ। এই ধারাবাহিকতা অব্যহত রয়েছে। যার ফল স্বরূপ প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও মৌসুম শুরুর আগে আমগাছ রোপনে অধিক আগ্রহী হয়ে পড়েছেন এলাকার আমচাষীরা। যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় চারা বাজারে। প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ৮ লাখ টাকার আমের চারা কেনাবেচা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চারা ব্যবসায়ীরা ।
শনিবার সকালে সরেজমিনে চারাবাজারে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার থানা রোডে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসেছে বিভিন্ন প্রজাতির আমের চারা বাজার। শনিবার হাটের দিন হবার ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে আমচাষিরা এসেছেন চারা কেনার জন্য। প্রতিদিন এই উপজেলার আমচাষিরা আম বাগান তৈরী করতে চারা ক্রয়ে অধিক আগ্রহী হবার ফলে চারা বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের হিড়িক পড়েছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল হতে আমচাষিরাও এই বাজারে চারা ক্রয় করতে আসে বলে জানান স্থানীয় চারা ব্যাবসায়ীরা।
ব্যাবসায়ীরা আরো জানান, বর্তমানে মানে-গুণে আম্রপালীর বেশ নামডাক থাকায় আম্রপালী চারার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও বারী ফোর, আশ্বিনা, নাগ ফজলী, ক্ষীরশাপাত,হিমসাগর সহ নানা প্রজাতির আমের চারা বিক্রয় হচ্ছে এই চারা বাজারে। প্রতিপিস আম্রপালী চারা বিক্রয় হচ্ছে ৬০ থেকে ৯০ টাকা, প্রতিপিস আশ্বিনা বিক্রয় হচ্ছে ১০০ টাকা। গড় অনুপাতে প্রতি জাতের চারার মূল্য ১০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগে আমের চারা রোপন করা হয়। যার ফলে ভর মৌসুম শুরু হবার আগেই চারা বাজারে সেরা চারা কিনতে আসছেন আম চাষিরা। শনিবার হাটবার হওয়ায় এই দিনে প্রায় ৬থেকে ৮লাখ টাকার কেনাবেচা হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য দিনেও চারা বিক্রয়ের পরিমাণ নেহাত কম নয়। প্রতিদিন গড়ে এই বাজারে লাখ টাকার চারা বাণিজ্য হয়ে থাকে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
চারা ব্যবসায়ী ইমরান বলেন “বর্তমানে আম্রপালি ও বারি-৪ জাতের চারা বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে আম্রপালি জাতের চারা প্রায় ৮০ শতাংশ বিক্রি হয়।”
আরেক চারা ব্যবসায়ী নাসির হোসেন জানান, “প্রতিদিন এই বাজারে প্রায় ৪/৫ লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়। আমরা বিভিন্ন এলাকা হতে চারা কিনে এনে বিক্রি করি। বর্তমানে আমের চারা বিক্রয় একটি লাভজনক ব্যবসা।”
জেলার মহাদেবপুর উপজেলা হতে আসা চারা ক্রেতা আব্দুল হাকিম বলেন, “সাপাহারে আমের চারা ভালো পাওয়া যায়। আমি ২শ’পিস আম্রপালি জাতের চারা কিনবো এজন্য সাপাহারে এসেছি।”
আমন ধান কাটার মৌসুম শেষ হলে চারা বিক্রয়ের পরিমাণ আরো দ্বিগুন বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন চারা ব্যাবসায়ীরা।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সবচেয়ে পায়রা বন্দরের কাছাকাছি: হুশিয়ারি সংকেত

রাজধানীর প্রবেশমুখে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন

বরিশাল জেলার ইউপি সচিবগণের দিনব্যাপী এমআইএস প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

আগে কোন সরকারের সময় কোন কাজ হয়নি: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

সাংবাদিক জহিরের পিতার মৃত্যুতে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর শোক

মাহাবুবুর রহমান মধু কে চেয়ারম্যান পদে পেতে চায় সদর উপজেলাবাস

বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বাসচালক গ্রেফতার

ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন ২ মে

সংস্কারের অভাবে ড্রেন বন্ধ, এক দিনের বৃষ্টিতে সাব রেজিস্ট্রার অফিস ও আশপাশে জলাবদ্ধতা।।

ফুলপুরে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল।