রিপন রানা বরিশাল<<>>বরিশালের ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলার সঙ্গে নলছিটি উপজেলার যোগাযোগের জন্য বিষখালী নদীতে ফেরী চালু ও নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১২জুলাই) সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় ‘ভালোবাসার বড়ইয়া ইউনিয়ন’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে গ্রুপের সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। এ সময় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান, বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন শুরু মিয়া, বড়ইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রব খান, সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা মহারাজ, ঝালকাঠি পৌর বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. তরিকুল ইসলাম মামুন, ভালবাসার বড়ইয়া ইউনিয়ন ফেসবুক গ্রুপের এডমিন মো. জিয়া সুমন ফরাজী, নলছিটি উপজেলার সমাজকর্মী মো.তাইফুর রহমান তুর্জ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন রাজাপুর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ বিষখালী নদী পার হয়ে নলছিটি, ঝালকাঠি জেলা সদর, বরিশাল সহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক পথে যাতায়াত করে। তারা ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে চল্লিশ কাহনিয়া এলাকা থেকে নদী পার হয়। এমনকি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই পথে যাতায়াত করে থাকে। তাই এই নৌপথে ফেরী চালু করা হলে দুর্ভোগ লাঘব হবে সকলের। এছাড়াও বিষখালী নদীর ভাঙ্গন রোধ করে বড়ইয়ার মানচিত্র রক্ষায় জরুরী ব্যবস্থা নেয়ারও দাবী করেন বক্তারা। এসম মো.তাইফুর রহমান তুর্জ জানান, গত (১০জুন) ফেরী চালুর দাবিতে তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে মতবিনিময় সভা করে ও (১৪জুন) ঝালকাঠী-২ আসনের সংসদ সদস্য,শিল্প মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন আমু,এমপি এবং ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও স্থানীয় জনগনের পক্ষ থেকে বালী তাইফুর রহমান তূর্য স্মারকলিপিটি নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, রানাপাশা ইউনিয়ন তেঁতুলবাড়িয়া খেয়াঘাটে ফেরির অভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে অসুস্থ রোগী এবং প্রসূতি মায়েরা। যেহেতু এই অঞ্চলের মানুষ বেশি যাতায়াত করে রাজাপুর এবং ঝালকাঠি সদরে, তাই চিকিৎসার জন্যও সেখানেই যেতে হয়। কিন্তু ফেরি না থাকায় এ্যাম্বুলেন্স আসে না। ইঞ্জিন চালিত নৌকায় রোগী ওঠানামা করানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং কষ্টদায়ক। এছাড়া ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন প্রতিনিয়ত, মালামাল আনা নেয়ার জন্য ট্রলারে তুলতে নামাতে খরচও বেড়ে যায়, ভোগান্তিও বেশি। তাই ফেরি চালু হলে বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে,গাড়িযোগে রাজাপুর, পিরোজপুর, ভান্ডারিয়া, খুলনা বাগেরহাট মোংলা বন্দরসহ অনেক এলাকার সাথে নলছিটি উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের এবং নলছিটি তেঁতুল বাড়িয়া -রাজাপুর হয়ে পায়রা বন্দর ও বরিশাল পর্যন্ত নির্বিঘ্নে সংযোগ স্থাপন হবে। যার ফলে= রোগীর ভোগান্তি লাঘব হবে, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হবে। এবং ব্যবসা বানিজ্য সম্প্রসারণের ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তাই ফেরি চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।