Tuesday , 5 July 2022 | [bangla_date]
  1. Development By Sahon Srabon
  2. অন্যান্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. চাকরির খবর
  6. জাতীয়
  7. তথ্য ও প্রযুক্তি
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. শোকাহত
  11. সারাদেশ

ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদে পঙ্গু ও ভিক্ষুক খোরশেদ কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

।। বিশেষ প্রতিনিধি।। ভোলা চরফ্যাশন উপজেলা নুরাবাদ ইউনিয়নের চর তোফাজ্জল ২ নং ওয়ার্ডের মৃত কালা মিয়ার ছেলে মোঃখোরশেদ আলম (৭০) সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মোকাম চরফ্যাশন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন প্রতিপক্ষ চর তোফাজ্জল ২ নং ওয়ার্ডের তাজলের ছেলে আবদুল আলী (৬৫)। পঙ্গু খোরশেদ আলম, জানান আমার বাবার ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে বিগত দিন আমাদের সাথে মামলা মোকদ্দমা চলতেছে। তারই মধ্যে গত ২০২১ সনে তাদের বিরুদ্ধে আমি একটি মামলা করি যার নাম্বার ৮৯৬ এফ ২১/২২ এই মামলাটি হওয়ায় আমাদের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন। তিনি আরো বলেন আমাকে অনেক বার মারধর করে ঘর থেকে উৎখাতের চেষ্টা করে আমি আমার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের জানিয়েছি। অসহায় ভিক্ষুক খোরশেদ আলম কান্না কণ্ঠে বলেন স্যারও আমার জমিটি পাইয়ে দেন আমি নামাজ পড়ে আপনাদেরকে দোয়া করবো।খোরশেদ আলমের স্ত্রী সাফিয়া বিবি(৬০) বলেন, আমরা অসহায় আমার স্বামী কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি পঙ্গু বাতার কার্ড করে দেন,তাতে আমার স্বামী ও সংসার নিয়ে কোন রকম সংসার টি আল্লাহ চালায়,আমাদের যায়গায় আমরা আছি আমাদের কে ঐযায়গা থেকে উৎখাত করার জন্য প্রতিপক্ষ আবদুল আলী বহু মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। আমরা অসহায় আমার স্বামী পঙ্গু ও ভিক্ষা করে দিন যাপন করে চলতে ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের নেতা আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহোদয়ের কাছে আবেদন জানাই যে আমরা অসহায় এই মিথ্যা মামলা থেকে আমাদের রক্ষা করেন। ভিক্ষুক খোরশেদ আলমের ছেলে জসিম( ৪০)বলেন আমার বাবা জন্মের পর থেকে আমাদেরকে যেভাবে লালন পালন করেন এবং মানুষের দ্বারেদ্বারে যেয়ে টাকা এনে দুমুঠো ভাত আমাদের কে খাইয়েছেন তা আর কি বলব আমি এই মিথ্যা মামলার সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। নুরাবাদ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ বলেন খোরশেদ এর উপর যে অমানুষিক নির্যাতন চলে তাতে আমরা দুঃখ প্রকাশ ছাড়া কিছুই করার নাই, কারণ তারা অনেক প্রভাব শালী।ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন বলেন ভাই আমি অনেক বার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন পক্ষ আমার কথা শুনেনি তারপর ও উচ্চ আদালতে যেহেতু গিয়েছে তারাই বিষয়টি দেখবে আমার কাছে যদি বিচারের দাবি করেন তাহলে আমি মিমাংসা করে দেব।দুলার হাট থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুরাদ হোসেন বলেন আমার কাছে কোন অভিযোগ দায়ের করেনি যদি কোন অভিযোগ পাই তাহলে পঙ্গু ও ভিক্ষুক খোরশেদ আলম কে আমি সহযোগিতা করবো।প্রতিপক্ষ আবদুল আলীর মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ - অন্যান্য