বাকেরগঞ্জ অসহায় পরিবারের জমির মসজিদ ভেঙে বাড়ী নির্মাণের ও থানায় অভিযোগ রিপন রানা বরিশাল <<>>বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামে (অবসরপ্রাপ্ত) সেনা সদস্য, রফিক মৃধা’র নেতৃত্বে একটি অসহায় পরিবারের জমির মসজিদ ভেঙে বাড়ী নির্মাণ করে, অসহায় পরিবার বাকেরগঞ্জ
থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ১৩নং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়ন,৩ নং ওয়ার্ড পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রাম আঃ কাদের হাওলাদারের বাড়ীর সামনে পাঞ্জেগানা মসজিদ ভেঙে বাড়ী নির্মাণ করার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আবুল কালাম হাওলাদার জানান, গত (২৪-২-২০১০) সালে পশ্চিম দূর্গাপুর মৌজার -দাগ নং ৯৭২- জেল-নং-১৭ খতিয়ান নং-৭ এর জমির মালিক মজিবর চৌকিদারের কাজ থেকে তিন শতাংশ জমি ক্রায় করেন। ক্রায় সুত্রে মালিক নুরুল হক হাওলাদার, পিতাঃ মৃত আয়নউদ্দীন হাওলাদার ও মোঃ আবুল কালাম হাওলাদার।
দীর্ঘদিন জমিটি পরিত্যক্ত থাকায় মাটি ভরাট করে নিজেদের উদ্যোগে ৪/৫ বছর আগে একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণ করা হয়।গত (২০জুন)২০২০ সালে স্থানীয়দের নিয়ে পশ্চিম দূর্গাপুর নেছারিয়া পাঞ্জেগানা মসজিদ নাম করন করে ২১ সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করেন।
গত (১২জুলাই)মঙ্গলবার ১৫/২০ জন মিলে অতর্কীতভাবে মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে দখল করে নেয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার মৃত হেলাল উদ্দীন মৃধা’র পুত্র (অবসরপ্রাপ্ত) সেনা সদস্য, রফিক মৃধা’র নেতৃত্বে, খালেক মৃধা, তহমিনা, পিতাঃ মৃত হেলাল উদ্দীন মৃধা, তহমিনার ছেলে শহিদ, হালিম, শাহিন। খালেক মৃধা’র ছেলে মুরাদ মাসুদ, ও আঃ রশিদ এর পুত্র আঃ হাই সহ অজ্ঞাত ৪/৬ জন পুরুষ ও মহিলা মিলে গত (৩৩৩)
অতর্কীত ভাবে পাঞ্জেগানা মসজিদ ভেঙে বাড়ী নির্মাণ করেন।
আবুল কালাম হাওলাদার জানান, বাকেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ প্রশাসন কোনো আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি স্যারে আমাকে বলে যে তুই বলবি, ওখানে কোনো মসজিদ ছিলো না একটি কুঁড়ের ঘড় ছিলো।
বড় পুইয়াউটা গ্রামের দোকান্দার কালাম মুন্সি বলেন, আমাদের গ্রামে মসজিদের সংখ্যা কম, কাদের হাওলাদারের বাড়ীর সামনে পাঞ্জেগানা একটা মসজিদ আছে আমরা ঐ পথে যাতায়াতের প্রায় সময় নামাজ আদায় করছি,কিন্তু কিছুদিন ধরে শুনছি যে রফিক মৃধা মসজিদ ভেঙে বাড়ী তৈরী করেছে।
স্থানীয় শালিসদার নাসির সিকদার জানান,অনেক বছর ধরে মসজিদটি রয়েছে, আমি প্রায়ই সময় মসজিদে নামাজ আদায় করছি, যদি মসজিদের জমি নিয়ে কোনো ঝামেলা থাকে, তাহলে মসজিদটি না ভেঙে, স্থানীয়দের সাথে আলাপ আলোচনা করলে সঠিক একটি রায় দেওয়া যেতো।
ইউনুস হাওলাদার জানান, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আল্লাহর ঘর মসজিদ ভাঙা ঠিক নয়, রফিক মৃধা যে কাজটি করছে সেটা ইসলাম বিরোধী কাজ আমি ধিক্কার জানাই ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি এই অপরাধীকে আইনগত কঠিন ব্যবস্থাগ্রহণ করা হোক।
অভিযুক্ত পরিবারের মুঠোফোনে কল দিলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।
১৩ নং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম (বাবু) বলেন, বিষয়টি আমি শুনছি আমি ব্যস্ত থাকায় যেতে পারি নাই,খুব নেক্কার জনক
এবিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন’ মুঠোফোনে কল দিলে বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনা স্থালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে ও আবুল কালাম হাওলাদার নামে একলোক অভিযোগ দায়ের করছে,তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।