বিশেষ প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে টাকার বিনিময়ে ফজুমিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ তিন পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক আবদুস শহিদসহ স্কুল কমিটির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনজন চাকরি প্রার্থী।
শুক্রবার সকালে লক্ষ্মীপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কমলনগরের ফজুমিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে তিন চাকরি প্রার্থী মো. শরিফ, ফরিদ উদ্দিন ও আজিম উদ্দিনকে অজ্ঞাত কয়েকজন লোক আটক করে রাখেন। এরই মধ্যে পরীক্ষার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা পরীক্ষা দিতে পারেননি।
শরিফ জানান, প্রধান শিক্ষক আবদুস শহিদ তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রণ না করার অনুরোধ করেন। পরিকল্পিতভাবে তার পছন্দের প্রার্থীকে চাকরি দিতে এমন অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষক নিজেই আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছেন; যাতে আমি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করি।
সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি প্রার্থী মো. রাশেদ বলেন, সাজানো নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। পরীক্ষার আগের রাতে তাকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে।
কমলনগর উপজেলার সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরী বলেন, লোক দেখানোর জন্য নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। স্কুল কমিটি ও প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দের লোকজনকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুস শহিদ বলেন, তিনজন চাকরি প্রার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে চলে গেছেন, তবে কেন তারা ফিরে গেছেন জানি না। অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়।
কমলনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বাকি দুই পদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অনিয়ম প্রমাণিত হলে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে।