বিশেষ প্রতিনিধি ।। ॥
ভোলা চরফ্যাশনের আবু বকরপুর ইউনিয়নে নানা বাড়ির বসত ঘর সংলগ্ন ডোবা থেকে দেড় বছরের শিশু ইশান
এর ভাষমান লাশ উদ্ধার হয়েছে ৭জুন মঙ্গলবার। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। শিশুটিকে নানা বাড়ির পাশে দাফন করা হয়েছে।
শিশুর নানা জাহাঙ্গীর আলম গতকাল শনিবার সংবাদকর্মীদের জানান, ঝুমুরের স্বামী কাওছার গাজা সেবনকারী। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে কাওছারকে তিনি প্রায় ৪লাখ টাকা দিয়েছেন। তিন মাস আগে আবার শশুড় বাড়ি থেকে টাকা নিতে বললে ঝুমুর অস্বিকৃতি জানায়।এতে ক্ষিপ্ত স্বামী কাওছার দুই শিশু পুত্রসহ ঝুমুরকে বেদরক মারধর করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এঘটনার পর দির্ঘ আড়াই মাসেও ঝুমুরের খোঁজ না নেওয়ায় ঝুমুর বাদী হয়ে স্বামী সহ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে মামলা করেন। স্বামী স্ত্রী বিরোধ যখন মামলায় গড়ায় এমন পরিস্থিতিতে ৭জনু মঙ্গল বার শিশু ইশানের লাশ পাওয়া যায় নানার ঘরের পাশের ডোবায়।শিশুটির পিতার দাবী শিশুর মা এবং নানা শিশুটিকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে।
অপর দিকে শিশুর নানা জাহাঙ্গীর আলম ও মা ঝুমুর বেগম দাবী করছেন, তাদের বাড়ির উপর দিয়ে শিশু ইসানের বাবার পরিবারের লোকজন যাতায়াত করে থাকে। তাদের ধারনা স্বামীসহ স্বামীর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে স্ত্রী ঝুমুর বেগমের দায়েরকৃত মামলাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে তাদের মধ্যে কেউ শিশু ইশানকে নানা জাহাঙ্গীর আলমের ঘরের পাশের ডোবায় ফেলে হত্যা করেছে।
ঘটনাটি সিআইডি তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। শিশুর নানা জাহাঙ্গীর আলম ও মা ঝুমুর বেগম।