মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল, পটুয়াখালী। বর্তমান নব নিয়োজিত নির্বাচন কমিশনের আওতায় অবাদ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ পরিবেশ এর প্রতিশ্রুতিতে প্রথম এবং দেশের সর্বশেষ ধাপের মেয়র ও ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যার ধারাবাহিতায় পটুুয়াখালী জেলার পাঁচটি ইউপি নির্বাচনের মধ্যে দশমিনা উপজেলার সর্বশেষ উপকুলীয় দ্বীপাঞ্চল ৭নং চরবোরহান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী আমেজ থাকলেও ক্ষমতাশীল দলীয় নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থীর লাঠিয়াল বাহিনীর প্রভাব বিস্তারের ফলে ভোটাররা আতংকিত হয়ে পরেছে বলে, ৯ ‘ই জুন বৃহস্পতিবার ঘড়া মার্কার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মোঃ তমিজ উদ্দিন তমান দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এবং নির্বাচন ( রিটার্নিং) অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূ্ত্রে জানা যায়, বর্তমান চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মো: নজির আহমেদ সরদার এর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সাথে তার দুই ছেলে মোঃ সবুজ ও রাজিসহ লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে গভীর রাতে ঘড়া মার্কার সমর্থক ও ভোটারদের উপর প্রাণ নাসের হুমকি ধামকি ও রাতের আধাঁরে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। এতে নির্বাচনী এলাকায় অসহায় সাধারণ ভোটাররা প্রতিনিয়োত’ই আতংকে দিন রাত পার করছেন। যার ফলে নির্বাচন কেন্দ্র যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে পারে নৌকা মার্কার প্রার্থীর বহিরাগত লাঠিয়াল বাহিনী। এ বিষয়ে নির্বাচনী অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করলেও তাতেও কোন সুফল পায়নি বলে অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মোঃ তমিজ উদ্দিন (তমাল)। এদিকে গভীর রাতে আশ্রায়নের বসবাসরত ঘড়া মার্কার সমর্থক ও ভোটারদের বাড়ি ঘরে হামলার বিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা।যায়, চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী নজির আহমেদ সরদারের বহিরাগত এবং কিছু স্থানীয় লোকজন গভীর রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের প্রাণনাশের হুমকি অদৃশ্য মারধর চলছেই। তারা গণতন্ত্রের জনসাধারণের ভোটাধিকার কেরে নিতে চায়। তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চায় বলে দাবী করেন। এদিকে অভিযুক্ত নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী মোঃ নজির আহমেদ সরদারে কাছে জানতে চাইলে তিনি বরাবর’ই বিক্ষিপ্ত ঘটনার বিষয়ে অস্বীকার করে দ্বায়ভার এরিয়ে জান। স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগর বিষয়ে দশমিনা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হক মুঠোফোনে জানান, হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পত্রটি আমলে নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আচারণ বিধি লংঘন করার বিষয়ে প্রথম এবং শেষ হুশিয়ারী দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় নির্বাচনী সময়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও ভোটারদের ও আইনী সুরক্ষায় অতিরিক্ত ম্যাজিট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। এবং সরেজমিনে পরিদর্শন করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করার কথা রয়েছে।