নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে মা ইলিশ রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট গত ০৭ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মাছ রক্ষায় নৌ পুলিশ ২১০ টি অভিযান পরিচালনা করেন। বুধবার (১২ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে বরিশাল নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ৫ দিনে ২২১ জন জেলেকে গ্রেফতার করা হয়, মৎস্য আইনে ১৬ টি মামলা এবং সরকারি কাজে বাঁধাদানে ভোলা জেলায় ০১ টি মামলা করা হয়েছে।
এসময় মোট ২,৯৮,৬৩,৭৩০ মিটার কারেন্ট জাল, ৫৩ টি বেহুন্দী জাল উদ্ধার, ১২৮২ কেজি ইলিশ মাছ এবং ৮৮ টি নৌকা জব্দ করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০২ জন অসাধু জেলেকে (প্রত্যেককে) ০১ বছর করে এবং ০১ জনকে ২০ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া ২৫ জন অসাধু জেলেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার জন্য ৮৪,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। আটককৃত ৬০ জন শিশু হওয়ায় তাদেরকে অভিভাবকের জিম্মায় মুক্তি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ১২ অক্টোবর
নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি (দক্ষিণ) ঢাকা মোঃ কাইয়ুমুজ্জামান খান ও পুলিশ সুপার (অপারেশন্স এন্ড ইন্টেলিজেন্স) ড. আ.ক.ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়ার নেতৃত্বে বরিশাল জেলার কালিগঞ্জ ও হিজলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন নদী সমূহে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে নদীতে মাছ ধরার অপরাধে মোট ২৯ জেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তন্মধ্যে ৫ জন জেলেকে ১ বৎসর করে কারাদন্ড এবং ১১ জনের প্রত্যেককে ৫,০০০/- টাকা করে মোট ৫৫,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১৩ জন শিশু হওয়ায় তাদেরকে অভিভাবকের নিকট মুচলেকায় জিম্মায় প্রদান করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।
উদ্ধার মাছ ধরার জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে এবং মাছ স্থানীয় গরিব দুস্থ্য, মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময়ে ইলিশের আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। এ আইন অমান্য করলে জেল অথবা জরিমানা এমনকি উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। এই সময় নদীতে মা ইলিশ ধরা বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকা পর্যন্ত নৌ পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।