নিজস্ব প্রতিবেদকঃবরিশাল//
শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। তাই প্রতিমা তৈরিতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। দিনরাত পরিশ্রম করে রং তুলির আর হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি করছেন প্রতিমা। তবে কারিগরদের অভিযোগ, প্রতিমা তৈরির উপকরসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও কাঙ্খিত মজুরি পাচ্ছেন না তারা। এদিকে, দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে করতে নজরদারী বাড়িয়েছে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রতিটি মন্ডপে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা ও কঠোর নিরাপত্তা । করোনার কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে উৎসব হলেও এবারের প্রস্তুতি বেশ জাঁকজমকপূর্ণ। বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখার্জী জানান, এবার বরিশাল জেলা ও মহানগরে মোট ৬৪৫ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে।
এবার মা আসছেন গজে আর চলে যাবেন নৌকায়। বরিশালের প্রতিমাশিল্পীরা এখন তাই রাত দিন পরিশ্রম করে দুর্গাদেবী ও তার পরিবারকে সাজিয়ে তুলছেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর মহালায়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের আগমন ঘটেছে। আগামী পহেলা অক্টোবর শনিবার ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজা। ৫ অক্টোবর বুধবার বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় আয়োজন দুর্গাপূজার সব আনুষ্ঠানিকতা।করোনা পরিস্থিতি এবার স্বাভাবিক থাকায় পূজার আনন্দে জোয়ার বইবে বলে মনে করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
ঝাউতাল পূজা মন্দিরের প্রতিমা শিল্পী জানান, এবার তিনি বরিশাল শহরে দুই জায়গায় প্রতিমা তৈরি করছেন। গত বছরের তুলনায় এবার ভালো। তবে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। তাই খরচ বাদ দিয়ে খুব কম টাকাই তাদের পকেটে যাবে।
তিনি বলেন,পহেলা অক্টোবর ষষ্ঠীর কথা মাথায় রেখেই আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি।ঝাউতলা সার্বজনী পূজা মন্দির কমিটির সাধারন সম্পদক সুজয় সেন বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে দুর্গাপূজার আনন্দ ভালোভাবে উপভোগ করা যায়নি। এবার প্রকোপ কম থাকায় সুন্দর পরিবেশে পূজা উদযাপন করা যাবে। প্রশাসন ও স্বেচ্চাসেবকদের সমন্বয়ে শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপন হবে বলে তিনি মনে করেন।