ডেস্ক রিপোর্ট:
আজ যেন নতুন সাজে সেজেছিল নেপালের দশরথের রঙ্গশালা ষ্টেডিয়াম।অপ্রতিরোধ্য বাঘিনিরা,অপরাজিত থেকে ৩-১গোলের ব্যাবধানে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল।
২০১০ সাল থেকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিটি আসরে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করলেও সাফল্যের বীজ বোনা হয়েছিল ২০০৯ সালে।কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়েরা তাদের শিক্ষক মফিজ স্যারের নেতৃত্বে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ড কাপের জন্য দল গঠন করে।প্রথম ২বছর তারা সফল হতে না পারলেও সাফল্য ধরা দেয় ২০১১ সালে ময়মনসিংহ জেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে।
এর পর ২০১৪ সালে কলসিন্দুরের ১০জন মেয়ে একসংগে জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পেয়ে যায়।মূলত এর পর থকেই বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে।
ক্রিড়া বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশ নারী ফুটবলার তৈরিতে রুপকথার জন্ম দিয়েছে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা ধোবাউড়া।দেশের হয়ে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছে মারিয়া মান্দা,সানজিদা সহ কলসিন্দুরের অদম্য মেয়েরা। সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২ এর অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। তাইতো আজ অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের বুকে কলসিন্দুরের নাম।