বিশেষ প্রতিনিধি।। ভোলার চরফ্যাসন পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডে যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী সুমন (২৮) এর দ্বারা গৃহবধু সালমা বেগম (২০) শারিরীক নির্যাতনের স্বীকার। গত ০৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় স্বামী সুমনের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধুর মা সাহিদা বেগম (৪০) বাদী হয়ে চরফ্যাসন থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহার ও বাদীর বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, দুই বছর পূর্বে ইসলামি বিধান ও কাবিন রেজিঃ মোতাবেক সুমন ও সালমার বিবাহ হয়। বিয়ের সময় গৃহবধুর পরিবার অভিযুক্ত স্বামী সুমনকে যৌতুক বাবদ নগদ দুই লক্ষ টাকা এবং সোনা গহনা ও সাংসারিক মালামাল সহ আরো দুই লক্ষ টাকা প্রদান করে। এরপরও স্বামী সুমন বিভিন্ন সময় আরো যৌতুক দাবী করে। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে গৃহবধু সালমাকে মারপিট সহ নির্যাতন করতে থাকে। মেয়ের সংসার টিকিয়ে রাখা ও মেয়ের সংসারের শান্তির কথা চিন্তা করে সালমার পরিবার কোন প্রকার আইনি জটিলতায় যেতে চায়নি। পরবর্তীতে ঘটনার দিন ৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় অভিযুক্ত সুমন গৃহবধুর নিকট যৌতুক বাবদ ফার্ণিচার কিনে দিতে ১ লক্ষ টাকা বাবার বাড়ী থেকে এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। গৃহবধু বাবার বাড়ীতে থেকে কোন টাকা এনে দিতে পারবে না বললে সুমনের মা মমতাজ বেগম ও আসামী সাইফুল ইসলামের যোগসাজসে সুমন তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে গৃহবধু সালমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে নীলা রক্তাক্ত ফুলা জখম করে। তারপর গৃহবধুকে রান্না ঘর থেকে গরম পানি করে আনতে বলে। গৃহবধু গরম পানি করে আনার পর অভিযুক্ত সুমন গরম পানি গৃহবধুর বুকে, গলার নিচে ও অন্যান্য স্থানে নিক্ষেপ করে। তাকে গৃহবধুর শরীরের অঙ্গ ঝলসে যায়। গৃহবধুর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ঘটনা দেখে ও গৃহবধুর বাড়ীতে খবর দেয়। এর মধ্যে গৃহবধুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেজিঃ নং ২১১৬৫/৩২। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সুমনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতনের এহেন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রত্যাশা করে। এদিকে চরফ্যাশন থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুরাদ হোসেন বলেন থানায় এসে এজার দাখিল করেন এরপর আমরা ১ নাম্বার আসামি সুমন কে আটক করা হয়েছে বাকি আসামীদের আটক করার চেষ্টা চলছে।