বরিশাল প্রতিনিধি// বরিশালের বানারীপাড়ায় সাবেক মেম্বর রিপন বড়ালের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের স্কুল শিক্ষক মিন্টু লাল বড়াল ও অবঃ মেডিকেল এ্যাসিস্টান্ট হিরন কুমার বড়াল ও বেবী বৈদ্দর ১ একর ৩৬.৫০ শতাংশ সাব কবলা মুলে রেকর্ডকৃত জমি সাবেক মেম্বর রিপন বড়াল জোর পূর্বক দখলের পায়তারা করছে। তার ধারাবাহিকতায় গতমাসে রিপন বড়াল গং মাষ্টার মিন্টু লাল বড়ালের ১৪ টি গাছের আমরা ও পেয়ারা পেরে নিয়ে যায় তাদের অগোচরে। যার বিপরীতে মিন্টু বড়াল গং জুলাই মাসের ২৪ তারিখ বরিশাল কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মিন্টু লাল বড়াল জানায় গত ৩১ আগষ্ট দুপুরে পুনরায় সাবেক মেম্বর রিপন বড়ালের নেতৃত্বে স্থানীয় তৈয়ব আলী বেপারীর ছেলে খোকন বেপারী, মৃত্যু হরিমন বড়ালের ছেলে অসোক বড়াল আমাদের বাগান হতে আমড়া পেরে নিয়ে যায়। যা শুনে আমি মোটর ড্রাইভার সবুজ ও অন্য একজনকে নিয়ে আমাদের বাগানে যাই। যার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী দুলাল বালী। আমরা পৌছানোর আগেই আমাদের বাগান থেকে আমড়া পেরে রিপন বড়ালরা সটকে পড়ে। আমি এবং আমার স্ত্রী দু জনই শিক্ষক হওয়ায় আমাদের অনুপস্থিতিতে রিপন বড়াল প্রায়ই আমার বাগান হতে আমড়া, পেয়ারা না বলে নিয়ে যায়। থানায় রিপন বড়ালের অভিযোগের বিষয়ে মিন্টু লাল বড়াল জানায় আমাদের সাথে রিপনদের সাক্ষৎ পর্যন্ত হয়নি। যার স্বাক্ষী আমার সাথে থাকা দুই ব্যক্তি বরং রিপন বড়াল থানায় মিথ্যে নাটক সাজিয়ে পুলিশ পরিচয়ে হুমকির মিথ্যে কথা বলে অভিযোগ দায়ের করে। আমার উপর হামলা করতে পারে এমন আশংকায় আমি আমার সাথে তাদের নিয়ে যাই। মিন্টু লাল বড়াল আরো জানায় ৩০ শতাংশ জমির বিক্রির কথা বলে সাবেক মেম্বর রিপন বড়াল বিভিন্ন সময়ে ২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা নেয় যার সাক্ষী মোসারেফ হাওলাদার, গোপাল চন্দ্র, সেলিম হোসেন, গাড়ির ড্রাইভার জহিরুল হক, বাদল মৃধা, বানারীপাড়ার ব্যবসায়ী ফকরুল হোসেন, সেলিম বালী সহ আরো অনেকে। বর্তমানে টাকা কিংবা জায়গার কথা বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ করে যার একাধিক রেকর্ডিং এ প্রতিবেদকের কাছে দেয় মিন্টু লাল বড়াল। গতকাল ১ লা সেপ্টেম্বর হিরন কুমার বড়াল বাদী হয়ে রিপন বড়াল ও অশোক বড়ালকে বিবাদী করে বানারীপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে জানা যায় ১লা সেপ্টেম্বর আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকায় সৈয়দকাঠী ভুমি অফিসের তসিলদার কামরুল ইসলাম, সহকারী তসিলদার শ্যামল কুমার হালদার জমি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তে গেলে তখন তারা সহ উপস্থিত দুলাল বালী সামনে রিপন বড়াল হিরন কুমার বড়ালকে মারতে উদ্ধত হলে মিন্টু লাল বড়াল সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারন করতে গেলে রিপন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। বর্তমানে রিপন বড়ালের অত্যাচারে মিন্টু মাষ্টার ও তার পরিবার জীবন নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভুগতেছে। যে কোন সময় মারাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।