Thursday , 22 September 2022 | [bangla_date]
  1. Development By Sahon Srabon
  2. অন্যান্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. চাকরির খবর
  6. জাতীয়
  7. তথ্য ও প্রযুক্তি
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. শোকাহত
  11. সারাদেশ

চরফ্যাশনে মসজিদের সরকারী শৌচাগার ভেঙে নিলেন ইউপি সদস্য

চরফ্যাশন প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশনের কাশেমগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ ও ঈদগাহের জন্য গত অর্থবছরে বরাদ্দকৃত নির্মিত সরকারী দুই কক্ষের শৌচাগার ভেঙে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জিন্নাগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিব উল্ল্যাহ দুলালের বিরুদ্ধে। গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার দু’দফায় মসজিদ কমিটিকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে টেন্ডার ছাড়াই নবনির্মিত শৌচাগারটি ভেঙে নেন তিনি। এতে বিপাকে পরেছে ওই মসজিদে নামাজ পড়তে আসা শতাধিক মুসুল্লিরা। মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় মসজিদের মুসুল্লিদের শত বাধা উপেক্ষা করে প্রভাব খাটিয়ে জোরপুর্বক সরকারী ভাবে বরাদ্দ দেয়া শৌচাগারটি ভেঙে নিয়ে যান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, গত অর্থবছরে কাশেমগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ ও ঈদগাহের জন্য সরকারী ভাবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি শৌচাগার বরাদ্দ হয়।ওই বছরের সম্প্রতি সময়ে শৌচাগারটি নির্মান ও টিউবওয়েল বসানো কাজ শেষ হলে মসজিদের মুসুল্লিরা ব্যাবহার শুরু করেন। গত বুধবার হঠাৎ করে ইউপি সদস্য হাবিব উল্লাহ দুলাল মসজিদের শৌচাগারটি ভেঙে ফেলা শুরু করলে মসজিদ কমিটির সদস্যরা বাধা দেন। কিন্তু এতে বন্ধ হয়নি শৌচাগার ভাঙ্গা। গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার দু’দফায় শৌচারগারটি ভেঙে ইট, খোয়া,রড, স্টিলের দরজাসহ সব মালামাল তার বাড়িতে নিয়ে যান।

মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল মালেক মিয়া জানান,কাশেমগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ ও ঈদগাহের জন্য গত বছর সরকারী ভাবে একটি টিউবয়েল ও শৌচাগার নির্মান করা হয়। কোন রকম পরিতিক্ত ঘোষনার আগেই টেন্ডার ছাড়া ইউপি সদস্য হাবিব উল্লাহ দুলাল শৌচাগারটি ভেঙে নিয়ে যান। মসজিদ কমিটির সদস্যরা বাধা দিলেও তিনি প্রভাব খাটিয়ে শৌচারগারটি ভেঙে ইট, খোয়া,রড, স্টিলের দরজাসহ সব তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এতে মসজিদে আসা মুসুল্লিরা প্রকৃতডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিপাকে পরেছেন।
ইউপি সদস্য দুলাল জানান, শৌচাগারটি মুসুল্লিদের কোন উপকারে আসেনা তাই তিনি ভেঙে নিয়ে গেছেন। এখনও সেখানে কিছু মামলামাল পরে আছে কারো লাগলে নিতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান জানান, সরকারী ভাবে বরাদ্দকৃত কোন স্থাপনা অনুমতি ছাড়া কেউ ভেঙে নিতে পারবেনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু

বরিশালে জমজমাট লক্ষ্মী প্রতিমার হাট।

নরসিংদীর রায়পুরায় নিয়ন্ত্রনহীন কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ৫ সবজি বিক্রেতা নিহত

পবিত্র কাবা শরিফ ও মদিনায় জুমা পড়াবেন যারা।

কালিগঞ্জ উপজেলায় ৫০ জনকে ফ্রি চক্ষু অপারেশন করা হয়।

বিসিসি’র ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাদশা’র মৃত্যুতে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র শোক

বরিশালে ভেজাল ব্যবসা করায় দোকানিকে কান ধরে উটবস ।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামে ধরলা নদীর ভাঙন।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বন্যা-পরবর্তী ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে কয়েকটি গ্রামের আয়তন কমে আসছে। আড়াই মাসে নদীতে বিলীন হয়েছে ১২০ বিঘা ফসলি জমি, যাতায়াতের রাস্তা ও শতাধিক বসতভিটা। হুমকিতে রয়েছে তিন শতাধিক পরিবার। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমণ্ডল ও বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম ও পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামে ধরলা নদীতে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। ধরলার ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, যাতায়াতের রাস্তা ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে। নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। অনেকের বসতভিটা ভেঙে যাওয়ার তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। চর গোরকমণ্ডল গ্রামে ইতিমধ্যে বালারহাট-ফুলবাড়ী সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবার। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। পূর্ব ধনিরাম গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, মতিয়ার, ছাইফুল, মজিবর রহমান ও মোস্তফা সরকার বলেন, ‘ধরলার ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। এক সপ্তাহে গ্রামের ছয়জনের বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। আমাদের যাতায়াতের দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন জমির আইল দিয়ে উপজেলা সদরসহ হাটবাজারে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’ পূর্ব ধনিরাম গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাছুমা আকতার বলে, ‘আমাদের বিদ্যালয়টি নদীতে ভেঙে গেলে আমরা কোথায় পড়াশোনা করব?’ পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামের নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমার সাত বিঘা ফসলি জমি ছিল। তাতে চাষাবাদ করে সংসার চালাতাম। ভাঙনে সব জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন, চর গোরকমণ্ডল এলাকার ভাঙন রোধে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশসহ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) পাঠানো হয়েছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে পাউবো ২০০ জিও ব্যাগ দিয়েছে, যা দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধরলা ও তিস্তা নদীর যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, ওই সব এলাকা পরিদর্শন করে নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলার কিছু কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের কাজ চলমানও রয়েছে।

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ছাত্রের মাকে হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সড়কে শিক্ষার্থীরা