পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের চর সুহরী গ্রামের আয়রন ব্রিজটি ফাটল ও ভিন্ন ভাঙ্গনে চূর্ণন বিচর্ণ হয়ে ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে । ব্রিজটির উপর দিয়ে প্রতি নিয়ত চার গ্রামের প্রায় তিন থেকে চার হাজার মানুষ এবং কয়েক কৃষি নির্ভর শত গরু মহিষ চলাচল করে। সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী এই ব্রিজটি দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে কমল মতি শিশু থেকে বৃদ্ধা মানুষ। তথ্য সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর প্রকৌশলী এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ১৯৯৯ -২০০০ সালের অর্থ বছরে আয়রোণ ব্রীজটি নির্মাণ করছিলো। এ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মধ্যেবর্তী চর সুহরী সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় ও মোল্লা বাড়ি সরকারী কমিউনিটি ক্লিনিক ঐ ব্রিজটি দিয়ে স্কুল ও হাসপাতাল এবং পথচারীরা চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। চর সুহরী সুহরী চর হরিদেবপুর কিসমত হরিদেবপুর সুহরী নিজ চর এই পাঁচ গ্রামের লোকের চলাচলের একমাত্র ভরষা এ ব্রিজটি। চর সুহরী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও সামাজ কর্মী মোঃ তালেব প্যাদা বলেন ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সড়কের হালকা মটর যানবাহন, অটো রিক্সা, মটর সাইকেল সহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জরুরী কোথাও যাওয়া আসা এবং গর্ভবতী নারীদের ও রোগী বহন করা এখন খুবই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। ব্রিজটির এখন এমন অবস্থা হেটে পার হওয়াটাও খুবই কষ্টকর। যে কোন মূহর্তে ঘটে যেতে পারে এক অনাকাঙ্কিত ঘটনা। ১ নং ওয়ার্ডের ইউ পি, সদস্য মোঃ দুলাল প্যাদা বলেন আমার এলাকার রাস্তা ঘাটের মাটির কাজ করেছি এবং হাসপাতাল ও সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে এর মাঝখানে ভাংঙ্গা ও জরজীর্ন একটি ব্রিজ এই ব্রিজটি যদি অতি তারাতারি নির্মান করা হলে এলাকাবাসীর চলাচল করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সু-দৃষ্টি কামনা করছি। তী নাহলে যে কোন সময়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়ে গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন এ ব্রিজটি সংস্কার অথবা নতুন করে নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সংঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে এই এলাকার প্রায় পাঁচ গ্রামের মানুষের চরম ভোগান্তি পোয়াতে হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান হবে। গলাচিপা উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, গ্রামীণ উন্নয়নে ধারাবাহিক কাজ করছে (এজিইডি) এছাড়া আশা করছি ঝুঁকি পূর্ণ ব্রীজটির বিষয়ে জরুরী ভাবে কাজ হবে। ##