অনুসন্ধান ডেস্ক ॥ বরগুনার বামনায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে বামনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন বামনা ইউনিয়নের অযোধ্যা গ্রামের হাশেম ঘরামীর ছেলে আল-আমীন (৩০) ও তার স্ত্রী তাজেনুর বেগম (২৩)।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দিনগত রাতে বামনা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা। অভিযোগ পেয়ে রাতেই আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে তাদের বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর পরিবারের কারও মোবাইলফোন নেই। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য সে প্রতিবেশী আল-আমীনের ফোন ব্যবহার করতো। এ সুযোগে প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন আল-আমীন।
গত ২৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে আল-আমীনের স্ত্রী তাজেনুর বেগম তাকে কাঁথা সেলাই করার কথা বলে নিজ ঘরে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন আল-আমীন। তাকে দেখে ওই কিশোরী চলে যেতে চাইলে তাজেনুর বাধা দেন। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করেন আল-আমীন। এসময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখেন তাজেনুর। পরে ওই ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তারা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বামনা থানায় অভিযোগ করেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতেই তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা নিয়ে শুক্রবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মোবাইলফোনে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও পাওয়া গেছে।