স্টাফ রিপোর্টার
বরিশালে র্যাব-৮, সিপিএসসি, ক্যাম্প কর্তৃক বিশেষ এক অভিযান পরিচালনা করে বরিশাল মহানগরীর কোতয়ালী থানাধীন এলাকা হতে বরিশাল মহানগরীর কোতয়ালী মডেল থানার ‘বরিশাল ক্লাব’এ চাঞ্চল্যকর চুরি মামলার অন্যতম মুল হোতা সহ ০২ (দুই) জন আসামী গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৮, সিপিএসসি, বরিশাল এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক ০৮-৩০ ঘটিকার সময় বরিশাল মহানগরীর কোতয়ালী থানাধীন মুক্তিযোদ্ধা পার্ক ও বরিশাল পোর্ট রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চুরি মামলার অন্যতম প্রধান ০২ জন আসামী ১। মোঃ আরমান হাওলাদার (২৪), পিতা-মোঃ মিঠু হাওলাদার, সাং- কেডিসি, ২। মোঃ মিঠু হাওলাদার (৩২), পিতা- আব্দুর রেজ্জেক হাওলাদার সাং- কোর্ট কম্পাউন্ড, সর্ব-১০নং ওয়ার্ড, থানা-বরিশাল কোতয়ালী জেলা- বরিশাল’দ্বয়কে আটক করা হয়।
বরিশাল র্যাব ৮ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি তে জানা যায় গত ২৩ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে সকাল আনুমানিক ০৮ ৩০ ঘটিকার সময় ‘বরিশাল ক্লাব’ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারাভাইজার মোঃ এহসানুল হক (২৮) ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় যে, তার বালিশের পাশে থাকা ব্যক্তিগত OPPO-17 মোবাইল ফোনটি নেই। তিনি আরও দেখতে পায় যে, ক্লাবের নিচ তলায় অবস্থিত কমিউনিটি হলের ধাতব পানির কল, ট্যাপ, জয়েন্ট পাইপসহ আনুষাঙ্গিক পানির লাইনের মালামাল চুরি হয়েছে। বিষয়টি ক্লাব কর্তৃপক্ষ অবহিত হলে ক্লাবে বিদ্যমান সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখতে পান যে, অজ্ঞাতনামা চোরেরা ভোর ০৩:৩০ ঘটিকার সময় বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন মালামাল চুরি করিয়া ভোর আনুমানিক ০৬:১৫ ঘটিকার সময় বাহির হয়ে চলে যায়। সে প্রেক্ষিতে,মোঃ এহসানুল হক (২৮), পিতা- জাহাঙ্গীর এহসান সিদ্দিক, সাং-ভরসাকাটি, থানা- উজিরপুর, জেলা-বরিশাল বাদী হয়ে বরিশাল জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। যার মামলা নং-২২ তারিখ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং। বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন চুরির ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং জনমনে ভীতির সঞ্চার করে।
উল্লেখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামী গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৮, বরিশালে একটি আধিযাচন পত্র প্রেরণ করেন। এমতাবস্থায় র্যাব-৮, সিপিএসসি, বরিশাল কর্তৃক ছায়াতদন্ত করে আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার অন্যতম প্রধান ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামিরা গ্রেফতারের পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। পরবর্তীতে উল্লেখিত গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে বরিশাল মহানগরীর কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।