গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যার পানি উঠায় ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নদীর পানি বড়তে থাকলে নিম্ন এলাকার প্রায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বের হতে না পেরে বানভাসিদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কৃষকরা উচু এলাকায় গৃহ পালিত পশু-পাখি স্থানান্তর করে সেখানেই নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। বেশি দুর্দশায় পড়েছেন চরাঞ্চলের বানভাসিরা।
দেখা গেছে, জরুরি প্রয়োজনে নৌকা বা কলা গাছের ভেলায় চড়ে বন্যা কবলিত লোকজন যাতায়াত করছেন। পানিবন্দী থাকার কারণে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৫০ পরিবারের প্রায় ১১ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। পানিবন্দী ইউনিয়নগুলো হচ্ছে উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, শ্রীপুর, চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশিদুল কবির জানান, পাট, শাক-সবজি, তিল, আমন বীজতল, আউস, মরিচ ও চীনা বাদামসহ মোট ১০১০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম হারুন উর রশিদ জানান, বন্যার কারণে উপজেলার ২৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইজিবাইকের ধাক্কায় প্রাণ গেল নারীর
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, আজ বুধবার ২২ মেট্রিক টন চাল সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে দেওয়া হয়েছে বন্যা কবলিতদের মাঝে বিতরণের জন্য ।