Monday , 4 September 2023 | [bangla_date]
  1. Development By Sahon Srabon
  2. অন্যান্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. চাকরির খবর
  6. জাতীয়
  7. তথ্য ও প্রযুক্তি
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. শোকাহত
  11. সারাদেশ

অভিশাপ

 

যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
ছবি আমার বুকে বেঁধে
পাগল হ’লে কেঁদে কেঁদে
ফিরবে মর” কানন গিরি,
সাগর আকাশ বাতাস চিরি’
যেদিন আমায় খুঁজবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!

স্বপন ভেঙে নিশুত্‌ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে,
কাহার যেন চেনা-ছোঁওয়ায় উঠবে ও-বুকে ছমকে,-
জাগবে হঠাৎ চমকে!
ভাববে বুঝি আমিই এসে
ব’সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে,
ধরতে গিয়ে দেখবে যখন
শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন!
বেদ্‌নাতে চোখ বুঁজবে-
বুঝবে সেদিন বুজবে।
গাইতে ব’সে কন্ঠ ছিঁড়ে আস্‌বে যখন কান্না,
ব’লবে সবাই-“ সেই য পথিক তার শেখানো গান না?’’
আস্‌বে ভেঙে কান্না!
প’ড়বে মনে আমার সোহাগ,
কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ!
প’ড়বে মনে অনেক ফাঁকি
অশ্র”-হারা কঠিন আঁখি
ঘন ঘন মুছবে-
বুঝ্‌বে সেদিন বুঝবে!

আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ’রবে তোমার অঙ্গন,
তুলতে সে ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ-
কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন!
শিউলি ঢাকা মোর সমাধি
প’ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি’!
বুকের মালা ক’রবে জ্বালা
চোখের জলে সেদিন বালা
মুখের হাসি ঘুচবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আসবে আবার আশিন-হাওয়া, শিশির-ছেঁচা রাত্রি,
থাকবে সবাই – থাকবে না এই মরণ-পথের যাত্রী!
আসবে শিশির-রাত্রি!
থাকবে পাশে বন্ধু স্বজন,
থাকবে রাতে বাহুর বাঁধন,
বঁধুর বুকের পরশনে
আমার পরশ আনবে মনে-
বিষিয়ে ও-বুক উঠবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!

আসবে আবার শীতের রাতি, আসবে না ক আ সে-
তোমার সুখে প’ড়ত বাধা থাকলে যে-জন পার্শ্বে,
আসবে না ক’ আর সে!
প’ড়বে মনে, মোর বাহুতে
মাথা থুয়ে যে-দিন শুতে,
মুখ ফিরিয়ে থাকতে ঘৃণায়!
সেই স্মৃতি তো ঐ বিছানায়
কাঁটা হ’য়ে ফুটবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!

আবার গাঙে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে,
সেই তরীতে হয়ত কেহ থাকবে তোমার সঙ্গে-
দুলবে তরী রঙ্গে,
প’ড়বে মনে সে কোন্‌ রাতে
এক তরীতে ছিলেম সাথে,
এমনি গাঙ ছিল জোয়ার,
নদীর দু’ধার এমনি আঁধার
তেম্‌নি তরী ছুটবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা-বন্ধ,
আমার মতন কেঁদে কেঁদে হয়ত হবে অন্ধ-
সখার কারা-বন্ধ!
বন্ধু তোমার হান্‌বে হেলা
ভাঙবে তোমার সুখের মেলা;
দীর্ঘ বেলা কাটবে না আর,
বইতে প্রাণের শান- এ ভার
মরণ-সনে বুঝ্‌বে-
বুঝবে সেদিন বুঝ্‌বে!

ফুট্‌বে আবার দোলন চাঁপা চৈতী-রাতের চাঁদনী,
আকাশ-ছাওয়া তারায় তারায় বাজবে আমার কাঁদ্‌নী-
চৈতী-রাতের চাঁদ্‌নী।
ঋতুর পরে ফির্‌বে ঋতু,
সেদিন-হে মোর সোহাগ-ভীতু!
চাইবে কেঁদে নীল নভো গা’য়,
আমার মতন চোখ ভ’রে চায়
যে-তারা তা’য় খুঁজবে-
বুঝ্‌বে সেদিন বুঝ্‌বে!

আস্‌বে ঝড়, নাচবে তুফান, টুটবে সকল বন্ধন,
কাঁপবে কুটীর সেদিন ত্রাসে, জাগবে বুকে ক্রন্দন-
টুটবে যবে বন্ধন!
পড়বে মনে, নেই সে সাথে
বাঁধবে বুকে দুঃখ-রাতে-
আপনি গালে যাচবে চুমা,
চাইবে আদর, মাগ্‌বে ছোঁওয়া,
আপনি যেচে চুমবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে।
আমার বুকের যে কাঁটা-ঘা তোমায় ব্যথা হান্‌ত,
সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়ত হ’য়ে শ্রান–
আসবে তখন পান’।
হয়ত তখন আমার কোলে
সোহাগ-লোভে প’ড়বে ঢ’লে,
আপনি সেদিন সেধে কেঁদে
চাপ্‌বে বুকে বাহু বেঁধে,
চরণ চুমে পূজবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর লেখা (দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থ) থেকে সংগ্রহকারী সাংবাদিক নিরেন দাস।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

ছাত‌কে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

বরিশাল মেডিকেলে ছাত্রীকে র‍্যাগিং: সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের উপর হামলা

গাছা থানা এলাকায় বিকাশ দোকানে চুরির ঘটনায় ১ জন আটক পঞ্চাশ হাজার টাকা উদ্ধার

অপহরণের সাত দিনের মাথায় নিখোঁজ স্কুলছাত্রী উদ্ধার

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামে ধরলা নদীর ভাঙন।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বন্যা-পরবর্তী ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে কয়েকটি গ্রামের আয়তন কমে আসছে। আড়াই মাসে নদীতে বিলীন হয়েছে ১২০ বিঘা ফসলি জমি, যাতায়াতের রাস্তা ও শতাধিক বসতভিটা। হুমকিতে রয়েছে তিন শতাধিক পরিবার। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমণ্ডল ও বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম ও পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামে ধরলা নদীতে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। ধরলার ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, যাতায়াতের রাস্তা ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে। নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। অনেকের বসতভিটা ভেঙে যাওয়ার তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। চর গোরকমণ্ডল গ্রামে ইতিমধ্যে বালারহাট-ফুলবাড়ী সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবার। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। পূর্ব ধনিরাম গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, মতিয়ার, ছাইফুল, মজিবর রহমান ও মোস্তফা সরকার বলেন, ‘ধরলার ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। এক সপ্তাহে গ্রামের ছয়জনের বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। আমাদের যাতায়াতের দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন জমির আইল দিয়ে উপজেলা সদরসহ হাটবাজারে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’ পূর্ব ধনিরাম গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাছুমা আকতার বলে, ‘আমাদের বিদ্যালয়টি নদীতে ভেঙে গেলে আমরা কোথায় পড়াশোনা করব?’ পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামের নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমার সাত বিঘা ফসলি জমি ছিল। তাতে চাষাবাদ করে সংসার চালাতাম। ভাঙনে সব জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন, চর গোরকমণ্ডল এলাকার ভাঙন রোধে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশসহ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) পাঠানো হয়েছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে পাউবো ২০০ জিও ব্যাগ দিয়েছে, যা দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধরলা ও তিস্তা নদীর যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, ওই সব এলাকা পরিদর্শন করে নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলার কিছু কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের কাজ চলমানও রয়েছে।

বরিশালে মা ইলিশ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে নৌ পুলিশ

বরিশাল চরকাউয়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাজু গাঁজা সহ আটক।

পাতিহাঁসের কালো ডিম, ৩ দিনেও জট খোলেনি রহস্যের!

নারী শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রতিচ্ছবি:পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এম,পি