ভোলা:
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে বিদেশ প্রবাসী জহুরুল ইসলামের স্ত্রী লাইজু আক্তার (৩০) এর ঘরের মালামালসহ ৩ ভড়ি স্বর্ণ ও নগদ ২ লক্ষটাকা লুট করে নিয়েছে সতি শাশুড়িসহ হাজেরা বেগম, তাছলিমা বেগম ও আব্দুল হাসেম। বুধবার দুপুরে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী লাইজু আক্তার। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী সৌদিআরব প্রবাসী। তাই আমার স্বামী বাড়িতে না থাকায় আমাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে স্থানিয় মনির। আমি বিষয়টি গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানাই। তাই আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয় মনির। সেই সাথে আমার সতি শাশুড়ি আমার দীর্ঘ দিনের সংসার ভাংতে সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে অর্থের লোভে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে । স্থানিয় মনিরের পরামর্শে ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে কোর্টে একটি মামলা দেয় শাশুড়ি ও শশুরসহ তারা। আমি মামলার হাজিরা দিতে গেলে আদালত আমাকে জেল হাজতে পাঠায়। সেখানে আমি ১৪ দিন জেল হাজতে ছিলাম। গত মোঙ্গলবার আমার জামিন হয়। জামিনে বের হয়ে বুধবার আমি আমার ঘরে আসি। আমার রুমে অন্য একটি তালা ঝুলতে দেখি। মোবাইলে স্থানিয় মেম্বারকে বিষয়টি জানাই। পরে মেম্বার এসে আমার সতি শাশুড়ির কাছ থেকে ওই তালার চাবি উদ্ধার করে মেম্বারসহ আমার রুমের দরজা খুলি। আমার রুমের মালামাল সব এলোমেলো দেখতে পাই। আমার রুমে থাকা নগদ ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ৩ ভড়ি স্বর্ণ ও রুমে থাকা কাপড়সহ বিভিন্ন মালামাল নেই। আমার রুমে আমার লাগানো তালা ভেঙ্গে উল্লেখিত স্বর্ণ ও টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় আমার শাশুড়ি হাজেরাসহ কুপ্রস্তাব কারী মনির ও তাছলিমা বেগম, হাছিনা বেগমসহ আমার শশুর আব্দুল হাশেম। পরে আমার রুমে অন্য তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। অন্যদিকে অভিযুক্ত হাজেরা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আমার তৃতীয় বিয়ে। স্থানিয় মনিরের পরামর্শে তালা ভেঙ্গে অন্য তালা লাগিয়েছি। তার রুমের টাকাসহ স্বর্ণ ও মালামাল কারা যেন নিয়েছে। এই পুত্র বধুকে আমরা রাখব না। অভিযুক্ত মনিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অনেক কিছু জানি তবে বলব না।
স্থানিয়রা জানান, সম্পতি আত্মসাৎ করতে সতি শাশুড়িসহ আরো কয়েজন মাস্টার প্লান করেছে। পুরো সংসারটাকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র করছে সতি শাশুড়ি। এখান থেকে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে তারা ভাগাভাগি করে নেয়। ঘটনার মুল নায়ক ওই শতি শাশুড়ি হাজেরা বেগম। এ ঘটনায় লাইজু আক্তার বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন মিয়া জানান, অভিযোগ তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।