স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৭ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় ভোলায় সড়ক বাতির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে রোববার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ভোলা পৌরসভা এলাকা ভুতুড়ে শহরে পরিনত হয়েছে।
এ বিষয়ে ভোলা পৌরসভার নাগরিক এডভোকেট নজরুল হক অনু বলেন, এক দিনে নয়। গত প্রায় ৯ বছরে বিদ্যুতের বকেয়া বিল ৭ কোটিতে গিয়ে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর অল্প পরিমানেও যদি পৌর কর্তৃপক্ষ যদি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতো তাহলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। এ কয় বছর ভোলা পৌরসভা হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, বাড়ির প্ল্যান অনুমোদন, গ্যাসের রাস্তা কর্তনের ক্ষতিপূরণ, বিজ্ঞাপন কর ও পৌর মার্কেটগুলোর ভাড়া এবং হাটবাজার ইজারাসহ বিভিন্ন খাত থেকে কত টাকা আয় করেছে আর কোন খাতে কত টাকা ব্যয় করেছে, কেন বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা সম্ভব হলোনা সেটা নাগরিকরা জানতে চায়।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ট্যাক্স দেয়ার পরেও এই দুরবস্থা কেন? এখন জনস্বার্থেই মেয়রের উচিত বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বসে দ্রুত সমাধান করা।
রোববার রাতে ভোলা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোলা বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রোববার রাতে ভোলা সদর রোড, শহরের নতুন বাজার, কালিবাড়ি রোড, ওয়েষ্টার্ণ পাড়া, উকিল পাড়া, খালপাড় সড়ক, কালিবাড়ি রোড, হাসপাতাল রোড, উকিল পাড়া, যুগিরঘোল, পিটিআই সড়ক, আদর্শ পাড়াসহ পৌর এলাকার সড়ক বাতির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন।
ভোলা বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ (ওজোপাডিকো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালিদুল ইসলাম জানান, ভোলা পৌরসভার কাছে প্রায় ৭ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। বারবার বকেয়া পরিশোধের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দিলেও কোনো ফল হয়নি। এমনকি জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে জেলার মাসিক উন্নয়ন সভায় তাদেরকে বকেয়া পরিশোধের জন্য বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেননি।
তাই বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় পৌরসভার মধ্যে যে কয়টি সড়ক রয়েছে সে সেসব সড়ক বাতির বিদ্যুৎ সংযোগ সংযোগ রোববার রাতে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভোলা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পৌরসভার প্রধান নির্বাহি মোস্তাফিজুর রহমানকেও একাধিকবার ফোন দিলেও তিনিও তার ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি ভোলা পৌরসভার ১নম্বর প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন লিঙ্কন। তিনি সোমবার দুপুরে আজকের পত্রিকা কে বলেন, মেয়রের অনুপস্থিতিতে আমি শুধু মানুষের নাগরিকত্ব, ট্রেড লাইসেন্স, সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্রসহ দাপ্তরিক কাগজে সই করি। এ ছাড়া অফিসিয়াল কোন বক্তব্য দিতে পারিনা।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সাত্তার বলেন, পিডিপির কাছে ভোলা পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে এটা সত্যি। কিন্তু আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অফিসিয়াল বক্তব্য দেওয়ার কেউ না।