নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর পলাশপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সড়কের গুচ্ছগ্রামের মধ্য কালবার্ড সংলগ্ন রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইর কাজ শেষ হলেও এখনও বাকি রয়েছে ৪র্থ তলার নির্মাণসহ ভবনের বাকি কাজ।
এদিকে ভবনের নির্মান কাজ অন্যদিকে এতিম শিশুদের প্রতিদিনের খাবার যোগার করতে বর্তমানে সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে কতৃপক্ষের। খাবার এবং অর্থের চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ।
তবে এতিম শিশুদের নিয়ে চিন্তার শেষ নেই মাদ্রাসার পরিচালক ফিরোজীর। তিনি সারাদিন ভাবছেন মাদ্রাসাটির উন্নয়ন কাজ নিয়ে। তার পরও পিছু পা দেননি তিনি ইতিমধ্যে মাদ্রাসা ভবনের তৃতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পূর্ন করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে এতিম শিশুরা কষ্ঠে দিন কাটাচ্ছে।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফিরোজী জানায়, এতিম শিশুদের দেখবাল করার জন্য নিজের পৈত্তিক সম্পতি বিক্রি করে ২০১৫ সালে পলাশপুর এলাকায় একটি ছোট ঘর ভাড়া নিয়ে প্রায় ৩০ জন এতিম শিশুদের নিয়ে ওই এলাকায় মাদ্রাসা চালু করি। ২০১৭ সালে ওই ঐলাকার ৭ নম্বর সড়কের গুচ্ছগ্রাম
সংলগ্ন এলাকায় রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য একটি ভাঙ্গা ঘরসহ ২ শতাংশ জমি কিনে মাদ্রাসা চালিয়ে আসি। হাঠৎ এতিমদের কষ্ঠ দেখে সংবাদকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সচিত্র ফিচার প্রকাশিত করলে তা নজরে আসে মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর এমপি’র। পরে মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সহযোগীতায় এতিমদের থাকার জন্য জমি ও ভবন হয়। কিন্তু বর্তমানে ছাত্র বেড়ে যাওয়ার কারনে ছাত্রদের খাওয়া দাওয়ায় খুব সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইর কাজ সম্পূর্ন হলেও চার পাশে দেয়াল ও জানালা না থাকায় ছাত্রদের দ্বিতীয় তলায় নিতে পারছি না। মাদ্রাসার বাকি কাজ সম্পূর্ন করতে হলে রড, ইট, বালু, সিমেন্ট ও অর্থের প্রয়োজন। সংবাদকর্মীদের প্রশ্নে কেঁদে কেদেঁ তিনি বলেন, এটা বস্তি এলাকা, এখানের মানুষ দিন আনে দিন খায়। তাদের নিজের খাবার যোগার করতেই কষ্ট হচ্ছে। তারা মাদ্রাসায় সহযোগীতা করবে কি ভাবে।
এতিমদের জন্য আমার পৈত্তিক সম্পতি বিক্রি করেছি। এবং কি মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের বিভিন্ন এনজিও’র কাছ থেকে লোন নিয়ে কাজ চালিয়েছি। বর্তমানে এনজিও সমিতির কাছেও অনেক টাকার দেনায় আছি। মাদ্রাসায় শতাধিকের বেশি ছাত্র রয়েছে। তাদের তিন বেলা খাবার ও শিক্ষকদের বেতন দিতে বর্তমানে হিমশিম খাচ্ছি। এর মধ্যে মাদ্রাসায় নেই কোন চাল, ডালসহ কোন প্রকারের খাবার।তাই টেনশনেই আমার দিন পার হচ্ছে। স্থানীয়রা বলেন- এই মাদ্রাসাটির ৪ তলা ভবনের কাজ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় তলার কাজ হয়েছে তাই এতিমখানাটির এতিম শিশুদের পাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে অর্থ, ইট, সিমেন্ট সহ খাবার সংকট থাকার কারনে বন্ধ হয়ে আছে উন্নয়ন কাজ। অর্থর জন্য চিন্তায় রয়েছেন মাদ্রাসার পরিচালক ফিরোজী। এক কথায় বলা যাচ্ছে বর্তমানে কষ্টে জীবন-যাপন করছে এতিমখানার শিশুরা।
সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে এই অসহায় শতাধিক এতিম শিশুর মুখে আনন্দের হাসি ফুটবে বলে দাবি তাদের। মাদ্রাসার এতিম শিশুদের চাল, ডাল, খাবার দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। অথবা মাদ্রাসার উন্নয়ন মূলক কাজের জন্যও ইট, বালু, রড, সিমেন্ট বা অর্থ দিয়ে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মাদ্রাসার কতৃপক্ষ।
সাহায্যে দিতে মাদ্রাসার বিকাশ নাম্বার ০১৯২৪৬১২৯১৮ অথবা পলাশপুর রহমানিয়া ক্বিরাতুল কুরআন হাফিজি মাদরাসা নামে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, গির্জামহল্লা বরিশাল শাখার সঞ্চায়ী হিসাব নং ০১০১১২০১২৬৪৫৪ যোগাযোগ করে সাহায্য পাঠাতে পারেন।