রাকিব হাসান, মাদারীপুর। মাদারীপুরে স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় রাজিয়া (২২) নামে এক গৃহবধুকে কুপিয়ে জখম করার মামলায় স্বামী মিজানুর রহমানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। বুধবার (০৮জুন) দুপুরে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আলমগীর হোসেন এই নির্দেশ দেন। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৭ মাসে আগে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় মাদারীপুর সদর উপজেলার সাবেক কালিকাপুর এলাকার ফোরকান হাওলাদারের মেয়ে রাজিয়া ও পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকার আব্দুল আলিম ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমান। বিয়ের পরে রাজিয়া জানতে পারে মিজানুরের ঘরে তার আরেকজন স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। পরে রাজিয়া স্ত্রীর মর্যাদা চাইলে মিজানুর টালবাহানা শুরু করে। পরে তার প্রথম স্ত্রী লাইজু বেগম রাজিয়াকে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দেয়। সোমবার রাতে মাদারীপুর শহর থেকে ব্যক্তিগত কাজ শেষে রাজিয়া তার মা পারুল বেগমকে নিয়ে বাড়িতে ফেরার সময়, সাবেক কালিকাপুর এলাকার বাওরের সামনে আসলে তাদের ইজিবাইকের পথ রোধ করে মিজান ও তার প্রথম স্ত্রী লাইজু বেগম। পরে লাইজু বেগম ও মিজানুর রহমান রাজিয়াকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এতে রাজিয়া রক্তাক্ত জখম হয়। পরে রাজিয়া ও তার মা পারুল বেগমের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় মিজানুর ও লাইজু বেগম। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় রাজিয়াকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকালে রাজিয়া বাদী হয়ে মিজানুরসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। সেদিন বিকেলে মামলার প্রধান আসামী মিজানুর রহমানকে পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক শুনানি শেষে মিজানুর রহমানকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন, মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমেশ চন্দ্র দাস।