স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলায় সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। আজ সকাল থেকেই জেলা জুড়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায়জেলা প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় রবিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপকূলীয় জেলা ভোলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী।
এসময় তিনি জানান, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে যেন বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয় এর জন্য ইউনিয়ন,উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মিটিং করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ প্রধান করা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় ৭৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার, আশ্রয়কেন্দ্র, পর্যাপ্ত ত্রাণসহ ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে ৮ কন্ট্রোল রুম। উপকূলীয় এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজ। নিরাপদে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে চরাঞ্চলে ঝুকিঁতে থাকা বাসিন্দাদের।
১৩ হাজার ৬০০ জন (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ৭০টি ইউনিয়ন ও সাতটি উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান।
এদিকে, মৎস্য বিভাগের পক্ষথেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং সব ধরনের নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদে অবস্থান করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আগের স্তরে রয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হলে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ রূপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গা ঘেঁষে বয়ে যেতে পারে।