পলাশ চন্দ্র দাসঃস্টাফ রিপোর্টার //
বাংঙ্গালীর শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয়েছেন সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রতিটি ঘড়ে ঘড়ে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। এ বছর তিথি অনুযায়ী দিন ব্যাপি লক্ষ্মী পূজার আরাধনা করা হয়েছেন। লক্ষ্মী পূজা,বাঙ্গালি হিন্দুদের ঘরে ঘরে এক চিরন্তন।প্রায় প্রতি ঘরে ঘরেই দেবী লক্ষ্মীর পুজো হয়ে থাকে। লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পত্তির দেবী। ধন সম্পদের আশায় বাংঙ্গালীর প্রতিটি ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা আয়োজন করে থাকে।নারী পুরুষ উভয়েই এই পুজোয় অংশ গ্রহণ করেন।
অনেকেই সারা বছর প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পুজো করে থাকেন। এছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পুজো হয়ে থাকে। লক্ষণীয় বিষয় হল-খারিফ শস্য ও রবি শস্য ঠিক যে সময় হয় ঠিক সেই সময় বাঙালি হিন্দু মেতে ওঠে লক্ষ্মীর আরাধনায়। তবে পুজোর উপাচারে পরিবর্তন হয় মাস ভেদে। ধন সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মীর পূজা সনাতন ধর্মের অনুসারীদের বিশ্বাস,ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষ্মী। এছাড়া তিনি হলেন জ্ঞান, আলো, সৌভাগ্য, উর্বরতা, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের প্রতীক। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে আওয়াজ উঠবে- ‘এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে, আমারই ঘরে থাকো আলো করে’।
শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে হিন্দু সম্প্রদায় লক্ষ্মী পূজা উদযাপন করে থাকে সে হিসেবে রবিবার লক্ষ্মী পূজা অনুষ্ঠীত হয়। বাঙালি হিন্দুদের বিশ্বাস লক্ষ্মী দেবী দ্বিভূজা তিনি ঈশ্বরের পালন রূপ শক্তি নারায়ণী। যাকে ভক্তরা ধন সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী, অন্নদাত্রী দেবীরূপে আখ্যায়িত করে পূজা করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মী ধন-সম্পদের দেবী হিসেবে পূজিত হন। ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে এ দিন লক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে আসেন। সঙ্গে থাকে বাহন পেঁচা এবং হাতে থাকে শস্যের ভাণ্ডার।লক্ষী পূজা উপলক্ষে বরিশাল জেলার ও নগরীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে মণ্ডপ তৈরি করে লক্ষ্মী প্রতিমা স্থাপন করে পূজা করা হয়।