নিজস্ব প্রতিবেদন:
আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষন করেছে।যদি এর সঠিক বিচার না পাই তাহলে মা,মেয়ে দুজনেই আন্তহত্যা করবো।আমার মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তারপর আবার হয়েছে একাধিকবার ধর্ষনের শিকার,এই জীবন রাখার চেয়ে না রাখাই ভালো। ক্ষোভ আর হতাশা নিয়ে কান্না কন্ঠে কথা গুলো বলেছিলেন সঠিক বিচারের দাবিতে সংবাদ সন্মেলনে বরিশাল রিপোর্টাস ইউনিটিতে। ধর্ষিতা ( ভিকটিমের) মা বলেন,আগে ন্যায় বিচারের আশা করতাম, আর এখন দেশে মনে হয় ন্যায় বিচার নাই,না আমরা গরীব?আমাদের টাকা পয়সা নাই,আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী, তাই কি আমরা কোন বিচার পাবোনা?আমার মনে হয় মেয়ের জন্য বিচার চাওয়াটাই আমাদের জন্য একটা অভিশাপ।ধর্ষিতার মা (ছদ্দনাম), সালমা মামলার এজাহার ও সংবাদ সন্মেলনে জানান,গত ৮/৯/২২ তারিখে সকালে আমার স্বামী কৃষিকাজ করার জন্য মাঠে চলে যায়,এবং আমি নিজে সকালে রান্নার কাজ শেষ করে, অনুমান ১১ টার দিকে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্হ কমপ্লেক্সে যাই।আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে (ছদ্দনাম),সুরমাকে একা ঘরে রেখে যাই।ডাক্তার দেখানোর পর আমি যখন বাড়িতে আসি,তখন আমার প্রতিবেশি (ছদ্মনাম) রেবেকার কাছে শুনতে পাই,বাড়িতে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে,শোনার সাথে সাথে আমি ঘরে ঢুকি,এবং আমার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করি কি হয়েছে?তিনি জানান আমি যখন ১১:৩০ টার সময় বাড়িতে আসি তখন সামনের এবং পিছনের দরজা বন্ধ পাইয়া সুরমাকে ডাক দিলে সুরমা পিছনের দরজা খুলিয়া দিলে, আমার স্বামি পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে উঠিয়া দেখতে পায়, আমাদের একই বাড়ির প্রতিবেশি আসামি,শহিদুল ইসলাম লুঙ্গি পরতেছে এবং দ্রত লুঙ্গি পরিয়া তারাহুরো করে সামনের দরজা খুলে দৌড় দিয়ে চলে যায়।তখন আমার স্বামী মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে, মেয়ে জানায় শহিদুল তার সাথে খারাপ কাজ করিয়াছে।আমরা বাড়িতে না থাকায় আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে শহিদুল ইসলাম আমার মেয়েকে ধর্ষন করিয়াছে।উপস্হিত স্বাক্ষী দেলোয়ার খান কালুকে অবহিত করলে, কালু, শহিদুল ইসলামকে ঘটনার বিষয় জিজ্ঞাসা করলে, আসামি শহিদুল ইসলাম আমাদের ঘরে আসিয়া আমাদের পা ধরে মাপ চায়,এবং বলে আমি ভুল করেছি আমাকে মাপ করে দিন।এই বিষয় নিয়ে আমরা মামলা করার জন্য থানায় গেলে, আসামীর পরিবার আমাদেরকে মামলা না করার জন্য বলে এবং যদি মামলা করি তাহলে আমাদেরকে মেরে ফেলবে বলে এই মর্মে হুমকি দেয়,আসামীর ভাই বাবুল বলে ৩ বছর আগে যে তোমার মেয়ে ধর্ষন হয়েছিল তার স্বাক্ষী কিন্তু আমার ভাই শহিদুল ইসলাম,অতএব তার বিরুদ্ধে মামলা করলে, পুর্বের মামলার কিন্তু স্বাক্ষী আমার ভাই দিবেনা এবং মামলাও কিন্তু হালকা হয়ে যাবে।অতপর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বাবুগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন,যার জি,আর নং ৬৬/২২ ( বাবুগঞ্জ) । বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামি পলাতক।তবে আসামীকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত।