Wednesday , 28 September 2022 | [bangla_date]
  1. Development By Sahon Srabon
  2. অন্যান্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. চাকরির খবর
  6. জাতীয়
  7. তথ্য ও প্রযুক্তি
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. শোকাহত
  11. সারাদেশ

ফুলবাড়ীতে আগাম জাতের লাউ চাষ

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী গ্ৰামের লাউখেত।বাজারে আগাম জাতের লাউ উঠতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে এই সবজির ভালো ফলন হয়েছে। এ ছাড়া দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষকেরা। অনেকে জমি বর্গা নিয়ে লাউ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলার প্রান্তিক সবজি চাষিরা চলতি মৌসুমে আগাম জাতের লাউ চাষ করেছেন। এতে তেমন পরিশ্রম করতে হয় না। শুধু খেত প্রস্তুত করে নির্দিষ্ট দূরত্বে বীজ বপন করতে হয়। গাছ এক-দেড় ফুট লম্বা হলে মাচা তৈরি করে তাতে তুলে দিলেই কিছুদিন পর লাউয়ের ফলন আসা শুরু করে। একেকটি গাছ থেকে ৫০-৬০টি লাউ পাওয়া যায়।

পাইকারি বাজারে লাউ ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজি ব্যবসায়ীরা খুচরা বিক্রি করেন ৫০-৬০ টাকায়।কৃষকেরা জানান, তাঁরা একই জমিতে পাট, লালশাক ও লাউয়ের চাষ করেছেন। শাক কিছুটা বড় হলে তুলে নিয়ে লাউগাছের মাচা তৈরি করে দিয়েছেন। মাচায় মাচায় দুলছে নানান জাতের লাউ। কম খরচে অল্প জমিতে অন্য ফসলের পাশাপাশি লাউ চাষ করতে পেরে খুশি চাষিরা।

উপজেলার নাওডাঙ্গা গ্রামের বর্গাচাষি সন্তোষ চন্দ্র রায় জানান, তাঁর নিজস্ব জমি নেই। অন্যের আড়াই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে লাউ চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় একদিকে লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে, অন্যদিকে বাজারদর ভালো থাকায় এ পর্যন্ত তিনি ১ লাখ টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। বাজারদর এ রকম থাকলে আড়াই বিঘা জমির দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার লাউ বিক্রি করবেন তিনি।

পূর্ব ফুলমতি গ্ৰামের লাউচাষি মোশারফ হোসেন দুলু ও মিলন ইসলাম জানান, তাঁরা ১ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন লাউ চাষ করেছেন। গত বছরের চেয়ে এ বছর লাউয়ের ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। এক বিঘা জমিতে ১০-২০ হাজার টাকা খরচ করে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব বলে তাঁরা অভিমত দেন।

শিমুলবাড়ী গ্ৰামের লাউচাষি নূর মোহাম্মদ শেখ বলেন, ‘আমাদের এখানকার মাটি লাউ চাষের জন্য উপযোগী। এখন আমরা সারা বছর লাউ চাষ করি। দাম ভালো পাচ্ছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. নিলুফা ইয়াছমিন জানান, প্রান্তিক চাষিদের লাউ চাষে উদ্বুদ্ধ করা ও বিভিন্ন সহযোগিতা দেওয়ায় দিন দিন লাউ চাষ বাড়ছে। উপজেলার মাটি লাউ চাষের জন্য উপযোগী। বিশেষ করে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের মাটি দোআঁশ এবং অপেক্ষাকৃত উঁচু হওয়ায় চাষিরা ব্যাপক পরিমাণে লাউসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন। উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১২ হেক্টর জমিতে লাউয়ের চাষ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

কোতয়ালী মডেল থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা ছগির হোসেন যোগদান।

দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ জেলায় বর্জ্যসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস।

স্বেচ্ছাসেবী শান্তর পাশে লাভ ফর ফ্রেন্ডস সংগঠন

ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন ২ মে

ভোলা চরফ্যাশনে আহাম্মদ পুর ইউনিয়নে দুস্থদের মাঝে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদ ভিজি এফ চাউল বিতরণ

বরিশাল নগরীতে পূর্ব শক্রতার জের ধরে অন্তসত্বা গৃহবধূর পেটে লাথি

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামে ইয়াবাসহ গ্রেফতার (১)

রুপাতলী শ্রমিক ইউনিয়নের দুই কমিটি বাতিল, সাবেক কমিটিকে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামে ধরলা নদীর ভাঙন।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বন্যা-পরবর্তী ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে কয়েকটি গ্রামের আয়তন কমে আসছে। আড়াই মাসে নদীতে বিলীন হয়েছে ১২০ বিঘা ফসলি জমি, যাতায়াতের রাস্তা ও শতাধিক বসতভিটা। হুমকিতে রয়েছে তিন শতাধিক পরিবার। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমণ্ডল ও বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম ও পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামে ধরলা নদীতে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। ধরলার ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, যাতায়াতের রাস্তা ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে। নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। অনেকের বসতভিটা ভেঙে যাওয়ার তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। চর গোরকমণ্ডল গ্রামে ইতিমধ্যে বালারহাট-ফুলবাড়ী সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবার। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। পূর্ব ধনিরাম গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, মতিয়ার, ছাইফুল, মজিবর রহমান ও মোস্তফা সরকার বলেন, ‘ধরলার ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। এক সপ্তাহে গ্রামের ছয়জনের বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। আমাদের যাতায়াতের দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন জমির আইল দিয়ে উপজেলা সদরসহ হাটবাজারে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’ পূর্ব ধনিরাম গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাছুমা আকতার বলে, ‘আমাদের বিদ্যালয়টি নদীতে ভেঙে গেলে আমরা কোথায় পড়াশোনা করব?’ পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামের নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমার সাত বিঘা ফসলি জমি ছিল। তাতে চাষাবাদ করে সংসার চালাতাম। ভাঙনে সব জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন, চর গোরকমণ্ডল এলাকার ভাঙন রোধে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশসহ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) পাঠানো হয়েছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে পাউবো ২০০ জিও ব্যাগ দিয়েছে, যা দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধরলা ও তিস্তা নদীর যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, ওই সব এলাকা পরিদর্শন করে নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলার কিছু কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের কাজ চলমানও রয়েছে।

বরিশালের পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই গ্রুপের তুমুল সংঘর্ষ, আহত ২০