স্টাফ রিপোর্টারঃ
লঘুচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে ভোলার মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তৃতীয়দিনের মতো তলিয়ে গেছে উপকূলের ১২টি গ্রাম। বাঁধের বাইরের এ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
পানিতে তলিয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। এছাড়া ডুবে গেছে ইলিশা ফেরিঘাট। এতে ফেরিতে ওঠা-নামা করতে পারছে না কোনো পরিবহন। যে কারণে বিরম্বনায় পড়ছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে ৩ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি চলাচল। গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পানি বাড়ায় সীমাহীন কষ্ট পোহাচ্ছেন পানিবন্দি মানুষ।
জেলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর, কন্দকপুর, শ্যামপুর, মেদুয়া, ধনিয়া ইউনিয়নের গঙ্গাকীর্তি, বলরামসুরা, কালীকীর্তিসহ ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
রাজাপুর গ্রামের গৃহবধূ সুরাইয়া বেগম বলেন, পানির কারণে আমাদের ঘরের রান্নার চুলা জ্বলছে না। পরিবারের ছয় সদস্য নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।
এদিকে রোববার (১১ সেপ্টম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩৬ মিলিমিটার বৃস্টিপাত হয়েছে।
এ অবস্থা আরও দুই-তিনদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ায় অফিসের অবজারভার মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, লঘুচাপের কারণে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। তবে বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
পূর্ণিমায় সৃষ্ট জোয়ারের প্রভাব ও নিুচাপের প্রভাবে পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবো ভোলার নির্বাহী প্ররকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, অতি জোয়ারে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এতে কোনো ক্ষতি হয়নি। আরও দুই-তিনদিন জোয়ার অব্যাহত থাকবে।