মাদক রোধে কঠোর হতে হবে এবং অপরাধীদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শুক্রবার (২৭ মে) সকালে কক্সবাজারের রামু বিজিবি রিজিয়ন মাঠে বিজিবি আয়োজিত মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সীমান্ত হচ্ছে চ্যালেঞ্জিং। মিয়ানমার সীমান্ত রয়েছে ২৭৪ কিলোমিটার। সীমান্তে কাজ করা অনেক দুরূহ ব্যাপার। তাই বিজিবিতে হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাঁও আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মো. ফখরুল আহসান, কক্সবাজার ত্রাণ ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিশনার রেজোয়ান হায়াত, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ উচ্চপদস্থ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় গত এক বছরের মালিকবিহীন উদ্ধারকৃত ৯০ লাখ ৮০ হাজার ৪৭৭ পিস ইয়াবা, ২৩ হাজার ৭৫২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৬ হাজার ৭৬৭ ক্যান বিয়ার, এক হাজার ৩৩৯ বোতল মদ, ১৫৪ বোতল ফেনসিডিল, ২০৬ লিটার বাংলা মদ, ১৭ কেজি গাঁজা, ৪৮ হাজার ১৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ট্যাবলেট, ১০ হাজার ৯৮৪ প্যাকেট সিগারেট ও সাত বোতল অ্যামোনিয়াম সালফার ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আটক এক হাজার ৯৭৯ জন আসামিসহ এক কোটি ২৪ লাখ ৪৩০ পিস ইয়াবা, ২৭ হাজার ৪৪৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, এক হাজার ৩০৫ ক্যান বিভিন্ন প্রকার বিয়ার, ৯৮ বোতল বিভিন্ন প্রকার মদ, ১৩৭ বোতল ফেনসিডিল, ৫৮ লাখ ৬ হাজার ৮০০ লিটার বাংলা মদ, ২২ হাজার ৯৯৫ কেজি গাঁজা, ৩ হাজার ১৫০ কেজি আফিম মামলার মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।