নিজস্ব প্রতিবেদক :
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২২ উপলক্ষে গত ০৭ থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নদ-নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এই সময় উপকূলীয় এলাকার নদ-নদী সাগরে কোন ধরনের জাল ফেলা যাবে না। এই ২২দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ, বাজারজাত ও পরিবহন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবানে সারা দেশের নদ-নদীতে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীসহ বেশ কয়েকটি নদীতে অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও নৌ পুলিশ ও র্যাব একই লক্ষে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অধিনস্থ বিসিজি স্টেশান বরিশাল, বিসিজি স্টেশান হিজলা ও বিসিজি স্টেশান কালীগঞ্জ কর্তৃক গত ১১ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত বরিশাল জেলার বরিশাল সদর, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কীর্তনখোলা, আড়িয়ালখাঁ ও মেঘনা নদী সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদর দক্ষিন জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে.বিএন কে এম শাফিউল কিঞ্জলের স্বাক্ষরিত বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তিনি জানান, মৎস্য অভিযানে বিভিন্ন এলাকা হতে ১,০৪,৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, ২০,০০০ মিটার সুতার জাল, ১২০ কেজি ইলিশ, ০১ টি নৌকাসহ ১০ জন জেলেকে আটক করা হয়। বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জিব সন্নামত সহ স্থানীয় প্রশাসন উপস্থিত ছিলেন।
জব্দকৃত সকল জাল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। জব্দকৃত ইলিশ মাছগুলো বরিশাল ডিসিঘাটে নিয়ে আসা হয়। এ সময় বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্যামতের উপস্থিতিতে বিভিন্ন এতিমখানা, গরীব ও দুস্থ পরিবারের ভাটারখাল বস্তির মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয় ও জব্দকৃত নৌকা মৎস্য বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়। আটককৃত জেলেদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
মিডিয়া কর্মকর্তা জানান , আমরা যদি একটা মা ইলিশ রক্ষা করতে পারি , তাহলে একটি ইলিশ মাছ থেকে আমরা প্রায় ২৪ লক্ষ ইলিশ মাছ পেতে পারি। এতে আমার যেমন সল্পমূল্যে ইলিশ খেতে পারবো, তেমনি বিদেশে রপ্তানি করে আমরা আয় করতে পারবো বিদেশি মুদ্রা। তিনি আরও জানান, মা ইলিশ রক্ষায় (৭ অক্টোবর) থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই ২২দিন সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে লক্ষে আমাদের বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের এরুপ অভিযান কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।